।। প্রথম কলকাতা ।।
Adeno Virus: বিগত কত বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে কলকাতায় (Kolkata) নয়া আতঙ্ক তৈরি করেছে অ্যাডিনো ভাইরাস (Adeno Virus)। যার কারণে এক থেকে দেড় বছরের শিশুরা বেশি সংক্রমিত হচ্ছে। গত ৫ দিনে প্রায় ১০ শিশুর মৃত্যু ঘটেছে। পাশাপাশি কলকাতার এই আতঙ্ক পৌঁছে গিয়েছে এবার বাংলাদেশে (Bangladesh)। প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে হাজার হাজার মানুষ শুধুমাত্র কলকাতায় আসেন চিকিৎসার জন্য। এছাড়াও অনেকে ভ্রমণ কিংবা ব্যবসায়িক কাজের ক্ষেত্রে কলকাতায় এসে থাকেন।
‘সময় টিভি’তে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, কলকাতায় এসেছিলেন ঢাকার (Dhaka) গুলশানের বাসিন্দা। সঙ্গে ছিল যমজ দুই শিশু, তবে শিশুদের মা এখন বেশ বিপাকে পড়েছেন। বেশ কয়েকদিন ধরে শিশুদের শরীরে দেখা দিচ্ছে ছোট ছোট লাল ফুসকুড়ি। এর আগেও তিনি একবার কলকাতায় এসেছিলেন। তখন কলকাতা ঘুরে ঢাকা ফিরে যাওয়ার পর তার দুই যমজ শিশু তীব্র জ্বরে আক্রান্ত হয়। সেই জ্বর নিয়ে আবার কলকাতায় চিকিৎসা করাতে এসেছেন তিনি। চিকিৎসকদের আশঙ্কা, শিশু দুটি অ্যাডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারে।
চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী, যদি শিশুর মধ্যে ৫ দিনের বেশি তীব্র জ্বর, খেতে না পারা, ঘনঘন প্রস্রাব শ্বাসকষ্ট, হাঁপানির উপসর্গগুলি দেখেন তাহলে দেরি না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সম্প্রতি করোনার মতোই রূপ বদলে ফেলেছে অ্যাডিনো ভাইরাস। যার নতুন কিছু লক্ষণ চিকিৎসকদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে। যদিও করোনার মতো এক্ষেত্রে মৃত্যুর ঝুঁকি কম। চিকিৎসক অরিন্দম বিশ্বাসের মতে, অ্যাডিনোর ক্ষেত্রে ৯৯% সুস্থ হয়ে যায়। যদিও এর কোন নির্দিষ্ট ভ্যাকসিন বা চিকিৎসা পদ্ধতি নেই। যে শিশু আক্রান্ত হবে তাকে আলাদা রাখলেই হবে। এক্ষেত্রে পাঁচ থেকে সাত দিন আইসোলেশনের প্রয়োজন রয়েছে।
শীতের বিদায় বেলায় ভাইরাল জ্বরের সঙ্গে অ্যাডিনোকে গুলিয়ে ফেলবেন না। ভাইরাল জ্বরের ক্ষেত্রে দিন কয়েক পরেই শিশুরা সুস্থ হয়ে যায়। কিন্তু অ্যাডিনো ভাইরাসের ক্ষেত্রে একেবারে উল্টো। প্রায় ১৪ দিন পর্যন্ত জ্বর দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে। কখনো বা তাপমাত্রা পৌঁছাতে পারে ১০৪ কিংবা ১০৬ ডিগ্রিতে। যেখানে প্যারাসিটামল ব্যবহার করেও খুব একটা সুরাহা মেলে না। জ্বরের সাথে আসতে পারে তীব্র কাঁপুনি। পাশাপাশি রয়েছে ফুসফুস, চোখ আর পেটে ইনফেকশন।
অ্যাডিনো রুখতে যা করবেন
- এই ভাইরাস বেশ ছোঁয়াচে। শিশুকে ভিড় এলাকা থেকে যতটা সম্ভব দূরে রাখুন।
- বাইরে থেকে এলেই শিশুর পোশাক পরিবর্তন করে দিন এবং হাত ভালোভাবে সাবান দিয়ে ধুয়ে দেবেন।
- করোনার মতই বাইরে বেরোলে শিশুর মুখে যেন মাস্ক থাকে। মাঝে মাঝে হাতে স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে।
- বাড়ির খুদেকে নিরাপদ রাখার দায়িত্ব অভিভাবকদের উপর। তাই এই সময়ে অভিভাবকদেরও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা উচিত। এই ভাইরাসকে বড়রা রুখে দিলেও, শিশুরা পারবে না।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম