।। প্রথম কলকাতা ।।
House Lifting in Hooghly: ভিন রাজ্যে থেকে কঠোর পরিশ্রম করে তিল তিল করে টাকা জমিয়েছিলেন। সেই টাকা দিয়ে বানিয়েছেন স্বপ্নের দু’তলা বাড়ি। কিন্তু রেলের (Rail) জায়গায় পড়ে যাওয়ায় একটু চিন্তায় পড়েন হুগলির (Hooghly) বেগমপুরের খোকন মন্ডল। তবে স্বপ্নের বাড়ি তিনি ভাঙেননি। বুদ্ধি করে প্রায় ৫৪ ফুট পিছনে গোটা বাড়ি সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছেন। সেই অনুযায়ী এখন জোর কদমে কাজ চলছে। এই অভিনব কাজ দেখতে ভিড় জমিয়েছেন পাড়া-প্রতিবেশীরা।
২০০৮ সালে যখন রেল জমি অধিগ্রহণ শুরু হয়েছিল তখন দ্বিতীয় পর্যায়ে নাম আসে হুগলির বেগমপুরের কুড়ি নম্বর রেলগেটের বাসিন্দা খোকনের নাম। যেখানে বলা হয়, তার বাড়ি রয়েছে রেলের জায়গায়। বাড়ি সরানোর আদেশ দেয় রেল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু নিজের বাড়ি ভেঙে ফেলার কথা স্বপ্নেও ভাবেননি খোকন মন্ডল। উপরন্তু বুদ্ধি করে প্রায় ৫৪ ফুট পিছনে বাড়িটি সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। যান্ত্রিক প্রযুক্তির সাহায্যে বাড়িটি লিফট পদ্ধতি ব্যবহার করে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। তিল তিল করে জমানো টাকা দিয়ে তৈরি প্রিয় বাড়ি গিয়ে তিনি কখনোই ভাঙতে চান না। খোকন মন্ডল প্রথমে ইউটিউবে জানতে পেরেছিলেন এমন এক সংস্থা রয়েছে যারা এই ধরনের কাজ করে থাকেন। জানতে পারেন, বাড়ি সরাতে খরচ পড়বে প্রায় ১৮ লক্ষ টাকা। প্রথমে কাজ করতে গিয়ে নানান সমস্যার সম্মুখীন হন। এমনকি কয়েক দিন কাজ বন্ধ রাখতে হয়েছিল। তার উদ্দেশ্য সমস্ত সমস্যা তিনি জয় করবেন, কিন্তু তার প্রিয় বাড়ি কখনোই ভেঙে ফেলবেন না। এখন ইঞ্জিনিয়ারিং টেকনোলজির সাহায্যে জোরকদমে বাড়ি সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ চলছে। রেলের জায়গা থেকে নিজস্ব জমিতে চলে যাবে খোকন মন্ডলের বাড়ি।
বর্তমানে সময়ের সঙ্গে সমানতালে প্রযুক্তির উন্নতি ঘটেছে। প্রায় বছর দশেক আগেই এই ধরনের কাজ জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। পুরো কাজটি করা হয় নিখুঁত মাপজোকের উপর ভিত্তি করে। বিদেশের নানান ভিডিওতে দেখা গিয়েছে রাস্তার ধারে কোন গাছ থাকলে সেই গাছ না কেটে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। বাড়ির ক্ষেত্রে প্রথমে ভিতের ভিতর দিকের অনেকটা অংশ খুঁড়ে নিয়ে জগের উপর ধীরে ধীরে বাড়িটিকে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়। তারপর বাড়ির নিচে মাটি খুঁড়ে সম্পূর্ণভাবে বাড়িটিকে আলাদা করে নেওয়া হয়। বাড়ি রাখা হয় রেললাইনের মতো লোহার পাতের উপর। বাড়ি যে জায়গায় স্থানান্তর করা হবে সেই জায়গাতেও কম প্রস্তুতি নেই, তা আগে থাকতে তৈরি করে রাখতে হয়। এই কাজ করতে সময় লাগে প্রায় এক মাসের কাছে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম