৷৷ প্রথম কলকাতা ৷৷
India Italy: ভারতের থেকে মুখ ঘুরিয়ে পাকিস্তানকের থেকে লাভ করার চেষ্টা, নাকি চিনের কাছকাছি যাওয়ার খেলা? ইতালির এই অতীত বর্তমানে প্রভাব ফেলবে না তো? ভারতের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ইতালি জিওপলিটিকসে সাজাচ্ছে নয়া ঘুঁটি৷ ‘প্রধানমন্ত্রী মোদী বিশ্বের নেতাদের মধ্যে সবেচেয়ে বেশি পছন্দের’,ভারতে পা রাখতে না রাখতেই প্রশংসা যেন ঝড়ে পড়ছে ইতালির৷ এমন কথা শোনা গিয়েছে ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির মুখে৷ তবে দুদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের যতই ৭৫ বছর হোক না কেন গত ২০ বছরে ইতালি কি ভারতের সঙ্গে লয়াল বা অনুগত থেকেছে?
জি২০ সম্মেলনে বড়সড় পলিটিলিক পদক্ষেপ ইতালির৷ কূটনৈতিক মহল বলছে এটা নিতেই হত কারণ পাকিস্তানের থেকে মারাত্মকভাবে ঠকে গেছে যে রোম৷ ন্যাটোর সদস্য হয়েও চিনের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাড়ানোর চেষ্টা আমেরিকার ধমকে ইতালি সরতে বাধ্য হয়েছিল৷ তাহলে এখন সেফ অপশন ভারত? ভারতের সঙ্গে বড়সড় চুক্তি এবার স্বাক্ষর হতে পারে ইতালির৷ কিন্তু ভারতের শর্ত রাখবে তা মানতেও হবে রোমকে৷ পাকিস্তান এস-৮০০ সাবমেরিন বিক্রি করতে পারবে না ইতালি৷ পাকিস্তানে সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তি কেন ভেসতে গেল ইতালির? কেনই বা ইতালির লস করতে বেইমানি করল ইসালামাবাদ?
ইতালির অগাস্টা ওয়েস্টল্যান্ড চপার বিতর্কে ভারতের তাবড় তাবড় কংগ্রেস নেতার নাম জড়িয়েছিল৷ দেশটার নেভির অফিসাররা গুলি চালিয়েছিল ভারতের মত্স্যজীবীদের ওপর তাতে মৃত্যুও হয় মত্স্যজীবীর৷ গত কয়েকবছর ধরে ইতালি-ভারতের সম্পর্কে যেন খরা চলছে৷ ভারতে ব্যবসার পথ বন্ধ দেখে চিনকে টার্গেট করে রোম৷ তবে সরাসরি নয়৷ ভায়া পাকিস্তান হয়ে৷ পাকিস্তান সিপ্যাক তৈরি হচ্ছে চিনের সাপোর্টেই৷ এখানেই গেম শুরু করে দেয় ইতালি৷ ইসলামাবাদকে অস্ত্র দিয়ে চিনের সঙ্গে জিওপলিটিক্যালি সম্পর্ক বাড়ানোর চেষ্টা করেছিল তারা৷ ২০১৮ সালে পাকিস্তানের সঙ্গে শেষ অস্ত্র চুক্তিও হয় রোমের৷ কিন্তু আমেরিকা ঢুকে ভেসতে দেয় সব পরিকল্পনা৷ সরাসরি ইতালিকে ওয়ার্নিং দিয়ে দেয় পেন্টাগন৷ চিনের সঙ্গে বেশি মাখামাখি করা যাবে না৷ সবথেকে বড় কথা ইতালি থেকে অস্ত্র বা প্রতিরক্ষা সামগ্রী কেনার মতো অর্থ এখন নেই পাকিস্তানের
ইতালির প্রথম মহিলা প্রাইম মিনিস্টার জর্জিয়া মেলোনির দাবি তিনি ইতালির আগের প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাঘির মতন নয়৷ মেলোনি ইউক্রেনের প্রতি তাঁর দৃঢ় সমর্থনের কথা ঘোষণা করেছেন৷ যুদ্ধ শেষ করার দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রী মোদী নিক এমনটাও শোনা গিয়েছে জর্জিয়ার গলায়৷ শুধু প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়াই নয় ইতালির বিদেশমন্ত্রী অ্যান্টানিও তাজানিও ভারত এসেছিলেন বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্করের সঙ্গে দেখা করার জন্য৷ তবে কূটনৈতিক মহল বলছে, ভারত যুদ্ধ নিয়ে বেশি নাক গলাক বা না গলাক নয়া দিল্লি ইতালির সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তিতে আগ্রহী৷ এমনই ইঙ্গিত পাওয়া গেছে নমোর বক্তব্য থেকে৷ তাই ইতালির কাছে এখন নিরাপদ অপশন অবশ্যই ভারত৷
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম