৷৷প্রথম কলকাতা৷৷
India russia oil trade: রাশিয়া থেকে ভারত এবার তেল কেনা বন্ধ করে দেবে? রাশিয়ার তেল কম দামে কিনে ভারত চাপের মুখে৷ পুতিনের কোন কথা শুনে ভারত নেমে যাচ্ছে নিচের দিকে রাশিয়ার ব্যাঙ্কগুলোর বড় স্টেটমেন্ট সামনে চলে আসছে৷ ডলারকে ছেঁটে ফেলতে চেয়েছিল মস্কো৷ রাশিয়া ভারত প্ল্যান করেছিল এক হয়ে গেল আরেক৷ তবে শুনে রাখুন রাশিয়ার কোনও চাপ হবে না তাতে৷ ভারতবর্ষের স্বপ্ন ভাঙতে চলেছে৷ কারণ রাশিয়ার থেকে কম দামে তেল কেনা ভারী পড়তে শুরু করেছে৷ ভারতের রূপির দামে পতন হচ্ছে মারাত্মক৷ আর তার নেপথ্যে রাশিয়ার হাত৷ মনে করে দেখুন২০২২ ডিসেম্বর মাস ভারত-রাশিয়া ডলারের ক্ষমতা খর্বে একজোট হয়ে গেল বলা হল ডলার-ইউরোর বদলে এবার বাণিজ্য হবে রূপি-রুবেলে৷ ভারত ভেবেছিল এই সুযোগে রূপি পাবে আন্তর্জাতিক তকমা৷
জট পাঁকানোর সূত্রপাত তখন থেকে৷ দেখুন একটা কথা বুঝতে হবে, মস্কো কিন্তু ভারতের কোনো ক্ষতি করছে না৷ তাহলে ভারতের ক্ষতিটা হচ্ছে কীভাবে? গত আট মাসে ভারত মারাত্মক লেভেলে আমদানি করছে রাশিয়া থেকে৷ শুধু মাত্র ক্রুড তেল নয় তাতে রয়েছে সার, সূর্যমূখী তেল৷ কিন্তু এত যে আমদানি করছে ভারত৷ রাশিয়াকে রপ্তানি করছে কতটা? এটাই তো সবথেকে বড় পয়েন্ট৷ ভারত বর্তমানে রাশিয়ায় যে পরিমাণ রফতানি করে তার থেকে ৫ গুণ বেশি পরিমাণ আমদানি করে৷ সৌদি আরব, ইরাক যুদ্ধের আগে এদের থেকে ক্রুড অয়েল কিনত নয়া দিল্লি৷ যুদ্ধের পর রাশিয়া একাধিপত্য নিয়ে নিল ভারতের বাজারে৷ কিন্তু রাশিয়ার ব্যাঙ্কগুলো দিল বড় ধাক্কা৷ তথ্য বলছে ভারতের আমদানি অনেক বেড়ে গেছে রপ্তানি থেকে যার জেরে ট্রেড ডেফিসিট বেড়ে গেছে৷
রাশিয়ান ব্যাঙ্ক স্পষ্ট বলে দিচ্ছে রূপি দিয়ে তেল কিনতে চাইলে তারা তা গ্রহণ করবে না৷ যার ফলে মারাত্মক সমস্যায় পড়ে গিয়েছে নয়া দিল্লি৷ ভালো করে বুঝুন রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের পর মস্কোর ওপর আমেরিকা একগুচ্ছ নিষেধাজ্ঞা৷ যার ফলে ডলার ব্যবহার করে রাশিয়ার তেল কিনতে পারছে না ভারত৷ কিন্তু শুধু কিনলে হবে বিক্রিও তো করতে হবে৷ তথ্য বলছে, ভারতের রাশিয়ায় রপ্তানি ১৪ শতাংশ পড়ে গিয়েছে৷ সেখানে ভারতের আমদানি গত আটমাসে ৬ শতাংশ বেড়েছে
যার ফলেই তৈরি হচ্ছে ফাঁক, ট্রেড ডেফিসিট৷ ২০২০-২১ ট্রেড ডেফিসিট বেশি ছিল না যা যুদ্ধ বাড়ার পর হয়েছে৷ প্রশ্ন হল ভারত কি তাহলে এবার তেল কেনা কমিয়ে দেবে? বর্তমানে কীভাবেই বা তেল কেনা হচ্ছে?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন ভারতের সামনে এখন একটাই উপায় ভারতকে রাশিয়ার মাটিতে এক্সপোর্ট অনেক বেশি বাড়াতে হবে৷ আরব আমিরাতের মুদ্রা দিরহাম দিয়ে রাশিয়াকে পেমেন্ট করছে রিলাইন্স, বিপিসিএলের মতো বড় সংস্থারা৷ ভারত মরিশাস ও শ্রীলঙ্কার সঙ্গেও কিন্তু রূপি দিয়েই বাণিজ্য করছে৷ কিন্ত সেই ছোটদেশগুলোর ক্ষেত্র কি ইমপ্যাক্ট পড়ে এখন সেটাই দেখার৷ তবে রূপিকে আন্তর্জাতিক করার জন্য আরও শক্তপোক্ত পরিকল্পনা চাই ভারত সরকারের৷