কাশ্মীরে পাকিস্তানের নীল নকশা, রাষ্ট্রদূতদের জানাল ভারত

।। প্রথম কলকাতা ।।
বিদেশ সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা আমেরিকা, রাশিয়া, ফ্রান্স ও জাপান সহ গুরুত্বপূর্ণ দেশগুলির রাষ্ট্রদূতদের ১৯শে নভেম্বর জম্মুর নাগরোটায় পাক জঙ্গি গোষ্ঠী জইশ-ই-মহম্মদের পরিকল্পিত হামলার বিষয়ে জানালেন।
রাষ্ট্রদূতদের হামলার তথ্য, জঙ্গিদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া অস্ত্র ও সামগ্রী বিষয়ে সমস্ত তথ্য দেওয়া হল, যাতে প্রমাণিত হয়েছে জঙ্গিরা পাকিস্তান থেকে এসেছে।
জম্মু ও কাশ্মীরে পরিস্থিতি অশান্ত করার ও আসন্ন স্থানীয় নির্বাচন ও গণতন্ত্র বানচাল করার পাক প্রয়াস নিয়ে ভারতের শঙ্কার কথাও জানানো হয়েছে রাষ্ট্রদূতদের।
এটা পরিষ্কার যে ফেব্রুয়ারি ২০১৯এ পুলওয়ামা-কাণ্ডের পর থেকে জঙ্গিরা বড়সড় হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছে। একথা জানিয়ে আগের এই ধরণের ঘটনায় জইশের যোগসূত্রেরও বিস্তারিত তথ্য রাষ্ট্রদূতদের দেওয়া হয়েছে।
চার সন্দেহভাজন জইশ জঙ্গি লুকিয়ে ছিল একটি ট্রাকে, যাদের বৃহস্পতিবার সকালে নাগরোটার কাছে সংঘর্ষে নিকেশ করে নিরাপত্তা বাহিনী।
রাষ্ট্রদূতদের আরও জানানো হয়, জঙ্গিরা কীভাবে ভারতে ঢুকছে, তাও পরিষ্কার হয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরের সাম্বা সেক্টরে মাটির নীচে সুড়ঙ্গ আবিষ্কারের পর।
পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, নাগরোটায় হামলার পরিকল্পনা করেছিল যে জঙ্গিরা, তারা পাকিস্তানের জইশ-ই-মহম্মদ গোষ্ঠীর সদস্য, যে জঙ্গি সংগঠনকে নিষিদ্ধ করেছে রাষ্ট্রসংঘ। এই তথ্যও শেয়ার করা হয়েছে রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে।
জানা গেছে, স্থানীয় নির্বাচনকে বানচাল করতে ও ২৬/১১র মুম্বই হামলার বর্ষপূর্তিতে জঙ্গি হামলার ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল।
উদ্ধার হওয়া একে-৪৭ রাইফেলগুলিতে ও অন্যান্য সামগ্রীতে যে ছাপ ছিল, তার বিষয়েও রাষ্ট্রদূতদের অবহিত করা হয়েছে।
নিরাপত্তা, কূটনীতি ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এই পরিকল্পিত হামলাগুলির সম্ভাব্য প্রভাব নিয়েও বিদেশ সচিব জানিয়েছেন রাষ্ট্রদূতদের।
আরও জানানো হয়েছে, কীভাবে ২০২০তে জম্মু ও কাশ্মীরে পাক নাশকতার ছকের অংশ ছিল ১৯শে নভেম্বরের ঘটনাটি। এই বছরে এখনও পর্যন্ত ২০০টি জঙ্গি হিংসার ঘটনা ঘটেছে আর নিকেশ করা হয়েছে ১৯৯ জন জঙ্গিকে।