আমি খেলোয়াড় নই, আমার খেলোয়াড় চাইঃ মমতা

।। প্রীতম সাঁতরা ।।
এপ্রিলের ১০ তারিখের নির্বাচনের আগে শেষ বেলার প্রচার তৃণমূল সুপ্রিমো। এদিন পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের জনসভায় উপস্থিত ছিলেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। সেখান থেকে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিমায় আক্রমণ শানালেন বিজেপিকে উদ্দেশ্য করে৷
বিহারের ‘গান’, উত্তর প্রদেশের ‘গুন’
মমতার বন্দোপাধ্যায়ের জানিয়েছেন, দু’টি বৈশিষ্ট্য বাংলায় আনতে চাইছে ভারতীয় জনতা পার্টি। একটি বিহারের ‘গান’। অপরটি উত্তর প্রদেশের ‘গুন’। বিহারের ‘গান’ বলতে বন্দুকের কথা বলতে চেয়েছেন তিনি। আর ইংরেজি শব্দ ‘গুন’-এর অর্থ গুন্ডা। নেত্রী বলতে চেয়েছেন, দুই ভিন রাজ্য থেকে পশ্চিমবঙ্গে বন্দুক এবং গুন্ডা আনতে চাইছে বিজেপি।
আমি খেলোয়াড় নই
বাংলাদেশের শব্দ জোড়া পশ্চিমবঙ্গে জনপ্রিয়তার শিখরে৷ সেই ‘খেলা হবে’ শ্লোগানকে নিজের প্রত্যেক জনসভায় ব্যবহার করেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। জামালপুরের জনসভাতেও তার অন্যথা হল না। তিনি বলেছেন ‘আমি খেলোয়াড় নই। আমার খেলোয়াড় দরকার।’ এই বাক্যটি নেহাতই কথার কথা নাকি রয়েছে কোনও রাজনৈতিক গভীরতা, সে ব্যাপারে চলতে পারে আলোচনা।
যতো নোটিস ততই আয়ুবৃদ্ধি
নির্বচনী প্রচারে মাঝেমধ্যে লাগামছাড়া হওয়ার অভিযোগ ওঠে নেতানেত্রীদের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি মমতা বন্দোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেও নোটিস পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তাঁর বিশেষ একটি বক্তব্যর কারণ ব্যাখ্যা চেয়েছে কমিশন। যদিও এই ঘটনায় তিনি যে একেবারেই চিন্তিত নন তা বুঝিয়ে দিলেন নেত্রী। পাল্টা বললেন, ‘যত নোটিস আসবে ততই হবে আমার আয়ু বৃদ্ধি।’
রাজ্যে কমেছে রেকর্ড বেকারত্ব
অন্যান্য জনসভার মতো আজকের এই সভা থেকেও এই দাবি করেছেন মমতা। তিনি জানিয়েছেন, আগের তুলনায় দেশে বেড়েছে বেকারত্বের হার। সেখানে কোভিড এবং লকডাউনের মধ্যেও চাকরি দিতে সক্ষম হয়েছে রাজ্য সরকার। মমতার কথা, “দেশে ২ কোটি বেকারত্ব বাড়িয়ে দিয়েছে। আর আমাদের রাজ্যে ৪০ শতাংশ বেকারত্ব কমিয়ে দেখিয়েছি আমরা।”