।। প্রথম কলকাতা ।।
Choking: প্রতিবছর প্রায় ১০ মিলিয়ন মানুষ গলায় খাবার আটকে বিষম খান। বিশ্বে প্রতি দুই ঘণ্টায় একজন মানুষ গলায় খাবার কিংবা অন্যকিছু আটকে দম বন্ধ হয়ে মারা যান। দেখুন, বিষম খাওয়াটা ভীষণ সামান্য ব্যাপার। কিন্তু এর কারণেই পড়তে পারেন ভয়ানক বিপদে। মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। খেতে গিয়েই আপনি সামান্য ভুল করে ফেলছেন। যার কারণে ফেইল হতে পারে আপনার মস্তিষ্ক এবং হার্ট। বিষম খাওয়া কোন রোগ নয়, কিন্তু এর কারণে অনেকে হাসপাতালে যাওয়ার পর্যন্ত সময় পান না। তার আগেই মারা যান। যারা বিষম খান তারাই বোঝেন, কষ্টটা ঠিক কেমন। এই বুঝি প্রাণটা বেরিয়ে গেল। বিষম আপনি যখন তখন খেতে পারেন। বাচ্চারাও বিষম খান, বড়রাও খান। কিন্তু বিষম খেলে কি করবেন? বা আপনার সামনে কেউ বিষম খেলে তাকে তৎক্ষণাৎ বাঁচাবেন কিভাবে? কয়েকটা ট্রিকস বলছি, জেনে রাখুন।
তাড়াহুড়ো করে খাবার একদম খাবেন না। খাবার ভালো করে চিবিয়ে তারপর ঢোক চাপুন। খাওয়ার সময় হাতের কাছে অবশ্যই জলের গ্লাস রাখবেন। জল ছাড়া খেতে বসবেন না। বিষম খেলে সামান্য জল আপনাকে সে যাত্রায় বাঁচিয়ে দিতে পারে। খেতে বসে টুকটাক কথা বলবেন না এমনটা নয়, কিন্তু খোশ গল্প জুড়ে দেওয়ার দরকার নেই। খাওয়ার মাঝে হাসতে গেলে মুশকিল। কথা বলুন, কিন্তু সাবধানে। শুকনো খাবার গলায় বেশি আটকায়, তাই সতর্ক থাকুন।
সামান্য অসাবধানে বিষম খেতেই পারেন। কিন্তু সেই মুহূর্তে একদম আতঙ্কিত হবেন না। মাথা ভীষণ ঠান্ডা রাখুন। আপনার সামনে এমনটা কারোর হলে, তার পিঠ একটু চাপড়ে দিন। কিংবা জোরে কাশতে বলুন। পরিস্থিতি যদি আরো খারাপ হয়, রোগীর পিছন থেকে জড়িয়ে ডায়াফ্রাম অর্থাৎ পেট আর পাঁজরের সংযোগস্থলে দুই হাত দিয়ে মোচড় দেওয়ার মতো ধাক্কা দিন। তবে হ্যাঁ, এক্ষেত্রে এই পদ্ধতিটা জানা দরকার, না হলে কিন্তু হিতে বিপরীত হতে পারে।
আসলে কি বলুন তো? খাবারের টুকরো শ্বাসনালীতে আটকে গেলে ফুসফুসে সঠিকভাবে অক্সিজেন পৌঁছায় না। তখনই দেখা দেয় শ্বাসকষ্ট কিংবা বিষম। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় একেই বলে চোকিং। সবথেকে বেশি বিষম খান বাচ্চারা এবং ৬৫ বছরের বেশি বয়স্করা। জানেনই তো, শ্বাসনালী বন্ধ মানে, অক্সিজেন হার্ট আর মস্তিষ্ক পর্যন্ত পৌঁছতে পারবেনা। কিছু সময় এমনটা হলে মৃত্যু অবধারিত। দ্রুত চিকিৎসা শুরু করতে হবে। সময় একদম নষ্ট করা যাবে না। সাত থেকে বারো মিনিটের মধ্যে চিকিৎসা শুরু না করলেই রোগীকে বাঁচানো মুশকিল।
বিষম খেলে ফুঁ দিন, এইসব মজার কথা ছাড়ুন। বিষম খাচ্ছেন বলে যে আপনার শরীরের জটিল রোগ রয়েছে এমনটা একদমই ভাববেন না। কিন্তু যদি প্রতিদিন খাবার সময় বিষম খান তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন। বিশ্বজুড়ে প্রতি বছর কোটি কোটি মানুষ বিষমের কারণে বিপদে পড়েন। তাই সচেতন থাকুন, সাবধানে থাকুন। একটু সাবধানতা আপনাকে বাঁচিয়ে দিতে পারে। https://www.facebook.com/100069378195160/posts/705222275133706/?mibextid=NTRm0r7WZyOdZZsz
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম