গুরুঙের দল ভাঙছে এবার পাহাড়ে তৃণমূল ভাঙবেঃ মনোজ দেওয়ান

।। শিবপ্রিয় দাশগুপ্ত ।।
দার্জিলিংয়ে বিমল গুরুঙের শিবিরে ভাঙন। অপেক্ষা করুণ, এবার এখানকার তৃণমূল জেলা নেতৃত্বে ভাঙণ দেখতে পাবেন। তাঁরা বিজেপিতে (bjp) আসার জন্য পা বাড়িয়ে আছেন। প্রথম কলকাতাকে একান্ত সাক্ষাৎকারে এই কথাই জানালেন দার্জিলিং জেলা বিজেপির সভাপতি মনোজ দেওয়ান (Manoj Dewan)।
প্রঃ বিমল গুরুঙের দল থেকে কোন মাপের নেতা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন?
উঃ আরে সেটা বললে অনেক কথা বলতে হবে। তবে যেটা সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ সেটা হচ্ছে বিমল গুরুঙের দলের জেল কমিটি, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, বিমল গুরুঙের রাজনৈতিক পরামর্শদাতা সৌরাজ থাপা, এই মাপের নেতারা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন।
প্রঃ কেন এরকম ভাঙন বিমল গুরুঙের দলে?
উঃ বিমল গুরুঙের দলের নেতা-কর্মীদেরই গুরুঙের ওপর ভরসা, আস্থা কিছু নেই। তাই এই অবস্থা। ওর দল আরও ভাঙবে। বিমল গুরুঙ নিজের স্বার্থের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সহায্য নিয়েছেন। এটা গোটা পাহাড়ের মানুষ, ওর দলের নেতা-কর্মীরা বুঝে গেছেন। পাহাড়কে গুরুঙ ঢোকা দিয়েছে এটা পরিস্কার হয়ে গেছে। পাহাড়ের মানুষ বুঝেছেন গুরুঙ পাহাড়ের স্বার্থের কথা ভাবেনি। নিজের কথাই ভেবেছেন। আর এটাও বুঝেছেন পাহাড়ের সমস্যার বিষয়ে বিমল গুরুঙ কোনও গুরুত্ব দেননি, দিচ্ছেনও না।
প্রঃ আপনাদের অর্থাৎ বিজেপির অবস্থা তো দার্জিলিংয়ে তাহলে ক্রমেই ভালো হচ্ছে?
উঃ একদম তাই। এখন পাহাড়ে বিজেপির সমর্থন রোজই বাড়ছে। গুরুঙের সমর্থন প্রতিদিনই কমছে।
পুরো পরিস্থিতি আমাদের পক্ষেই আছে।
প্রঃ আপনি বলছেন পরিস্থিতি আপনাদের পক্ষে আবার আপনারাই অভিযোগ করছেন, তৃণমূল সরকার ও সেই সরকারের পুলিশ আপনাদের একটা মণ্ডল সভা করারও অনুমতি দিচ্ছে না। তা হলে পরিস্থিতি আপনাদের পক্ষে থাকল কোথায়?
উঃ দেখুন পাহাড়ের মানুষ আমাদের সঙ্গে আছেন। আমরা মানুষের সমর্থন, যেটা আসল সমর্থন, সেটা পাচ্ছি। তবে প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে তৃণমূল আমাদের সভা করার অনুমতি দিচ্ছে না। এই তো ১২ জানুয়ারি সভার অনুমতি চেয়ে পেলাম না। তবে তৃণমূলের দিন শেষ হয়ে এসেছে। দার্জিলিং জেলার তৃণমূল নেতারা বিজেপিতে আসার জন্য পা বাড়িয়ে রয়েছেন। কথাও চলছে তাঁদের সঙ্গে। তাঁরাও আমাদের সঙ্গে কথা বলছেন। আর দু-একটা দিন যেতে দিন, দেখবেন তৃণমূলের পুরো জেলা নেতৃত্ব বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন।
প্রঃ কোন কোন নেতা আসবেন?
উঃ এটা এখনই প্রকাশ করছি না। একটু অপেক্ষা করুণ সব দেখতে পাবেন। পাহাড়ে তৃণমূলের কোনও অস্তিত্বই আর থাকবে না।