।। প্রথম কলকাতা ।।
Family Bonding: শুরু হয়ে গেছে বিয়ের মরশুম। বিয়ে মানেই একটা মেয়ের জীবন আমূল বদলে যাওয়া। তাই নতুন পরিবারের সবার সঙ্গে সম্পর্কটা (Family Bonding) ভালো হওয়া দরকার।
ছোট থেকে যে বাড়িটায় একটা মেয়ে বড় হয়েছে এক নিমেষে সেই বাড়িটা ছেড়ে চলে আসতে হয়। যাকে জ্ঞান হওয়া থেকে মা বলে জেনে আসা হয় একজন নতুন মানুষকে মা বলে ডাকতে হয়। আর আজকাল কার দিনে শ্বাশুড়ি বৌমার মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে বেশিরভাগই নেতিবাচক কথা শোনা যায়। আর বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দোষের আঙুল ওঠে নতুন মেয়েটির দিকেই। তাই সেটা যাতে না হয় তাই চেষ্টা করুন বিয়ের আগে থেকে কিংবা বিয়ের পর শ্বশুরবাড়ি গিয়ে শ্বাশুড়ির সঙ্গে সম্পর্কটা ঠিক করার। হ্যাঁ হয়তো মেয়ে হয়ে উঠতে পারবেন না কিন্তু বন্ধু হওয়ার চেষ্টা তো করাই যায়। হোক না অসমবয়সী কিন্তু তাতে কী!
আসলে বিয়ের পর ছেলেকে নিয়ে যেন শ্বাশুড়ি বৌমার মধ্যে টাগ অফ ওয়ার চলে। শ্বাশুড়ি ভাবেন ছোট থেকে যে ছেলেকে বড় করেছেন তার দখল চলে গেল আবার অন্যদিকে নতুন বিয়ে হয়ে আসা মেয়েটি তো ছেলেটির ওপর ভরসা করেই এই নতুন বাড়িটায় এসেছেন। তাই স্বাভাবিক ভাবেই তারও বেশ কিছু প্রত্যাশা থাকে। এখান থেকেই শুরু হয় দ্বন্দ্ব। তাই এক কাজ করুন বরং শ্বাশুড়ির ওপরেই ছেড়ে দিন আপনার বরের ব্রেকফাস্ট বানানোর দায়িত্ব। মাঝে সাঝে না হয় আপনি বানালেন!
যদি আপনি চাকুরিরতা হন তাহলে চেষ্টা করুন আপনার শ্বাশুড়ি মাকে মাঝেমধ্যে কিছু উপহার দেওয়ার। আর আপনি হাউজওয়াইফ হলে না হয় ভাগ করে নিলেন সারা দিনের কাজ। কাজের ফাঁকে গল্প দিয়েই না হয় জেনে নিলেন দুজনের পছন্দ অপছন্দ। দুজনেই একেবারে বন্ধুদের মত সময় কাটান। কখনও কেউ কাউকে কোন কাজে বাধা দেবেন না। জোর করে কোনও অভ্যাস পরিবর্তনের চেষ্টা করবেন না। বরং সময় পেলে শাশুড়িকে নিয়ে ঘুরে আসাও আপনার কর্তব্য।
আপনি আপনার মাকে যে জায়গায় রাখেন প্রাথমিক ভাবে আপনার দায়িত্ব আপনার শ্বাশুড়ি মাকেও সেই জায়গাতেই রাখার। সেই ভাবেই যত্ন নেওয়ার। মনে রাখবেন আপনাদের দুজনের রুচিবোধ, ধ্যানধারণা, অভ্যাসগুলো আলাদা হওয়াটাই স্বাভাবিক। তাই তাকে তার মতো করেই গ্রহণ করুন। নিজেদের মধ্যে সমস্যা হলে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে আসুন।
হ্যাঁ এবার যদি দেখেন শুরু থেকেই শ্বাশুড়ি আপনার সব চেষ্টাকে বিফল করে দিচ্ছে, উল্টে আপনার ওপরেই অত্যাচার করছে, হস্তক্ষেপ করছে আপনার ব্যক্তিগত জীবনে, সেক্ষেত্রে সত্যিই সমস্যা। কিন্তু চেষ্টা জারি থাক আপনার, শ্বাশুড়ি মায়ের বন্ধু হয়ে ওঠার।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম