Delivery Boy killed: আইফোনের জন্য চরম সিদ্ধান্ত! ডেলিভারি বয়কে নৃশংসভাবে হত্যা তরুণের

।। প্রথম কলকাতা ।।

Delivery Boy killed: শিহরণ জাগানোর মতো হত্যাকাণ্ড কর্নাটকে (Karnataka)। শুধুমাত্র একটি আইফোনের (I-phone) জন্য ভয়ঙ্কর কাণ্ড ঘটালো বছর কুড়ির এক তরুণ। অনলাইনে আইফোন অর্ডার দিয়েও টাকা জোগাড় করতে পারেনি সে। দরজায় আইফোন এসে উপস্থিত হতেই ডেলিভারি বয়ের (Delivery Boy) হাতে টাকা দেওয়ার বদলে নৃশংসভাবে কুপিয়ে খুন করা হয় তাকে। পরবর্তীতে ওই ডেলিভারি কর্মীর মৃতদেহ পুড়িয়ে দেয় সে। কিন্তু তাঁর আগেই সিসিটিভি ক্যামেরায় মৃতদেহ বয়ে নিয়ে যাওয়ার ছবি ধরা পড়ে।

ই-কার্ট ডেলিভারি এজেন্টের এমন মর্মান্তিক মৃত্যু স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে সে রাজ্যে । ই-কার্ট হল ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ফ্লিপকার্টের একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান। সেখান থেকেই আইফোন অর্ডার করেছিলেন হাসান জেলার বাসিন্দা হেমন্ত দত্ত। বছর কুড়ির হেমন্ত দত্ত ৭ ফেব্রুয়ারি হাতে পায় নিজের আইফোনটি। কিন্তু আইফোনের টাকা ডেলিভারি বয়কে দিতে পারেনি সে। টাকা না দিলে আইফোন হাত ছাড়া হয়ে যাবে এই ভয়ে ডেলিভারি বয়কেই নিজের বাড়িতে একাধিকবার ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে খুন (Murder) করে হেমন্ত।

নিহত ওই ডেলিভারি এজেন্টের নাম হেমন্ত নায়েক। ভাইয়ের নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার বিষয়ে থানায় মামলা দায়ের করে হেমন্তের দাদা মঞ্জু নায়েক। আর এই অভিযোগ পাওয়ার পর নিখোঁজ হওয়া হেমন্তকে খোঁজার চেষ্টা শুরু করে পুলিশ। তদন্ত করতে গিয়ে দেখা যায় হেমন্তের দেহ রেল লাইনের কাছে আগুন ধরিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। প্রমাণ সম্পূর্ণভাবে লোপাটের চেষ্টায় ওই তরুণ পেট্রোল ঢেলে ডেলিভারি বয়ের মৃত দেহকে পুড়িয়ে ফেলে । কিন্তু তার আগে যে রাস্তা দিয়ে সে মৃতদেহটি নিয়ে যাচ্ছিল রেললাইনের কাছে সেখানে থাকা একটি সিসিটিভি ক্যামেরায় (CCTV Camera) সম্পূর্ণ বিষয়টি ধরা পড়ে যায়।

পুলিশ আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য পায় যে, মৃতদেহ পুড়িয়ে (Burned) ফেলার আগে ওই তরুণ নিজের বাড়িতেই ডেলিভারি বয়ের মৃতদেহ লুকিয়ে রেখেছিল। সিসিটিভি ফুটেজে স্পষ্ট দেখা যায়, একটি টু-হুইলারে করে ওই মৃতদেহ বেঁধে নিয়ে যাচ্ছে তরুণ। উপযুক্ত তথ্য প্রমাণ হাতে পাওয়ার পর গ্রেফতার (Arrested) করা হয় হেমন্ত দত্তকে।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version