সবাই তো বলেন সরস্বতী পুজোর আগে কুল খেতে নেই, কেন জানা আছে কী?

||সুদীপা সরকার||
সরস্বতী পূজার আগে কুল খেলে দেবী রেগে গিয়ে পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দিতে পারেন এই ভাবনা ছোটবেলায় অনেকেরই থাকে।
কিন্তু ভাবনাটা কি সত্যি।
সরস্বতী পুজোর অঞ্জলি দেওয়ার পরই নারকেল কুল খাওয়া যাবে।
ছোট থেকেই আমরা সকলের মুখে এমনটাই শুনে এসেছি।
কিন্তু কেন এই নিয়ম?
বসন্ত পঞ্চমী সময় ব্যাপক হারে কুল উঠে বাজারে। কারন শীতের ফল কুল।
সরস্বতী পুজোর প্রসাদ হিসেবে ব্যবহার হয় নারকেল কুল। সেই কারণে গাছের প্রথম ফলটি দেবী কে উৎসর্গ করার এক প্রকার প্রথা হয়ে উঠেছে। বিশ্বাস হতে থাকে দেবীকে না দিয়েই ফল খেলে বোধ হয় পরীক্ষায় ফেল হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।
তবে এর পিছনে বৈজ্ঞানিক কাহিনীও আছে তা হলো বসন্ত শুরু হওয়ার সময় পেটের রোগ জ্বর সর্দি-কাশি প্রকোপ বাড়ে।
এই সময় খুলে পাক ধরে।
তার আগে কাঁচা কুল খেলে পেট খারাপের সম্ভাবনা থাকে। এছাড়া কাঁচা কুলের টক স্বাদ দাঁতের এক প্রকার ক্ষতি করে।
আবার শাস্ত্রে বলা হয়েছে সরস্বতী কে তুষ্ট করতে ব্যাসদেব বদ্রিকাশ্রমে তপস্যা করছিলেন।
তপস্যার আগে দেবী সরস্বতী একটি শর্ত দেন তাঁকে।তপস্যা স্থল এর কাছে দেবী একটি কুলের বীজ রেখে দিয়ে বলেন যতদিন বীজ অঙ্কুরিত হয়ে বড় গাছে হবে এবং কুল হবে ততদিন দেবী র তপস্যা করতে হবে।
ব্যাসদেব সেই শর্ত মেনে নেন।
যেদিন কুল তার মাথায় পরে তিনি বুঝতে পারেন দেবী তুষ্ট হয়েছেন সেই দিনটি পঞ্চমী ছিল। তবে লোকাচারে
দেবী প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতেই মা গ্রহণের পূর্বে কুল খাওয়া হয়না।