Tulsidas Balaram: ভারতীয় ফুটবলে এক যুগের অবসান, ৮৭ বছর বয়সে প্রয়াত কিংবদন্তি ফুটবলার তুলসীদাস বলরাম

।। প্রথম কলকাতা ।।

 

প্রয়াত ভারতের এশিয়ান গেমসের স্বর্ণপদক বিজয়ী ফুটবলার এবং অলিম্পিয়ান তুলসিদাস বলরাম। দীর্ঘ অসুস্থতার পর বৃহস্পতিবার দুপুরে মধ্য কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন কিংবদন্তি ফুটবলার। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর। ১৯৬২ সালের এশিয়াড চ্যাম্পিয়ন গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর হাসপাতালে ভর্তি হন। মূত্রনালীর সংক্রমণ এবং পেটের সমস্যার কারণে চিকিৎসা চলছিল তাঁর।

 

১৯৫০ এবং ৬০ এর দশকে ভারতীয় ফুটবলের সোনালী প্রজন্মের অন্যতম সেরা ফুটবলার তুলসিদাস বলরাম। তিনি চুনি গোস্বামী এবং পিকে ব্যানার্জির মতো কিংবদন্তিদের সঙ্গে জুটি বেঁধেছিলেন। তিন কিংবদন্তিকে একসঙ্গে বলা হত ভারতীয় ফুটবলের ব্রহ্মা, বিষ্ণু, মহেশ্বর। বলরাম বেশিরভাগই সেন্টার-ফরোয়ার্ড বা বাম-উইঙ্গার হিসাবে খেলেছিলেন। অর্জুন পুরস্কারে ভূষিত হন তিনি। ২০১৩ সালে পান বঙ্গবিভূষণ পুরস্কার।

 

তুলসিদাস বলরাম হায়দ্রাবাদ থেকে কলকাতায় এসেছিলেন ফুটবলার হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে। খুব তাড়াতাড়ি হয়ে উঠেছিলেন ময়দানের তারকা। পাশে পেয়েছিলেন আরও দুই কিংবদন্তি তারকাকে পিকে ব্যানার্জি ও চুনী গোস্বামীকে। এই ত্রয়ী জুটির উপর ভর করেই ১৯৬২ সালে জাকার্তা এশিয়াডের ফাইনালে দক্ষিণ কোরিয়াকে ২-১ গোলে হারিয়ে সোনা জিতেছিল ভারত। এর আগে ১৯৫৬ সালে মেলবোর্ন অলিম্পিক ও রোম অলিম্পিক দলের সদস্য ছিলেন তুলসিদাস বলরাম। রোম অলিম্পিকে হাঙ্গেরি ও পেরুর বিরুদ্ধে গোলও করেছিলেন তিনি।

 

ময়দানে যদিও এক সঙ্গে খেলেননি তিন কিংবদন্তি। চুনী গোস্বামী ছিলেন মোহনবাগানের ঘরের ছেলে। অন্যদিকে তুলসিদাস বলরাম ছিলেন ইস্টবেঙ্গলের ঘরের ছেলে। পিকে ব্যানার্জি বড় দুই প্রধানে খেলেননি। ২০২০ সালের ২০ মার্চ প্রয়াত হন পিকে ব্যানার্জি। সেই বছরই ৩০ এপ্রিল প্রয়াত হন চুনী গোস্বামী। আর এবার ২০২৩ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি প্রয়াত হলেন তুলসিদাস বলরাম। তবে ফুটবল পাগল বাঙালির হৃদয়ে থেকে যাবেন এই তিন কিংবদন্তি।

Exit mobile version