স্ট্রেচ মার্ক নিয়ে রোজই চিন্তা করেন? উপায় আছে, জেনে নিন

।। প্রথম কলকাতা ।।
হঠাৎ খুব মোটা থেকে রোগা হয়ে গেলে বা রোগা থেকে মোটা হয়ে গেলে শরীরে নানান জায়গায় দেখা যায় স্ট্রেচ মার্ক।বয়সন্ধিকালে প্রেগনেন্সির সময় এই ধরনের দাগ শরীরের নানা অংশ লক্ষ্য করা যায়। আবার অনেকের ওবিসিটির জন্য দেখা যায় এই স্ট্রেচ মার্ক। পিঠে, হাতে, পায়ে, কোমরে, পেটে, বুকে, থাইতে থাকে এই ধরনের দাগ দেখা যায়। এই সমস্যার জন্য অনেকে নিজেদের পছন্দসই পোশাক পরতে পারেন না। অনেকের স্ট্রেচ মার্ক সাদা হয় আবার অনেকের লালচে। তবে এই স্ট্রেস মার্ক কমানোর অনেক রকম ওষুধ বাজারে রয়েছে। তবে ওষুধ না খেয়ে বরং ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করুন দেখে নিন কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি যা করলে খুব সহজেই দূর হবে এই দাগ।
নারকেল তেল ব্যবহার:-
নারকেল তেল তৈরি হওয়ার নতুন স্ট্রেচ মার্ক কমাতে সাহায্য করে। এতে থাকা ভিটামিন ই, ভিটামিন কে, এন্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান ত্বককে পুনর্জীবিত করে। পাশাপাশি নারকেল তেলে রয়েছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান যা ত্বক ভালো রাখতে সাহায্য করে।
ক্যাস্ট্রল অয়েল:-
ত্বক ময়েশ্চারাইজ করতে ক্যাস্ট্রল অয়েল ব্যবহার করা হয়। ত্বক বেড়ে যাওয়া রোধ করে এটি। ফলে স্ট্রেচ মার্ক বা ফাটা দাগ কমায়।
আলুর রস:-
আলুর রস স্ট্রেচ মার্ক কমাতে সাহায্য করে। পাতলা করে আলু কেটে আলুর রস স্ট্রেচ মার্ক ওপর লাগিয়ে রাখুন ১০ থেকে ১৫ মিনিট এভাবে রেখে উষ্ণ জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে এক সপ্তাহ করলে স্ট্রেচ মার্ক এর দাগ অনেকটা কমবে।
লেবুর রস:-
বেশকিছু সমীক্ষা বলেছে, লেবুর রসে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা মৃতকোষ তুলে নতুন কোষ গঠনে সাহায্য করে। তাই যেকোনো দাগের উপর লেবুর রস লাগিয়ে মালিশ করুন। মিনিট পরে উষ্ণ জল দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিন এভাবে এক সপ্তাহ করলে উপকার পাবেন।
হলুদ:-
হলুদ গুরো সরষের তেল বা জলের সঙ্গে মিশিয়ে সেই মিশ্রন একটু ঘন করে স্ট্রেচ মার্ক-এর ওপর লাগান দিনে দুবার করে। এভাবে সপ্তাহ খানেক করুন। তাতে চটজলদি দাগ থেকে মুক্তি পাবেন।
ডিমের সাদা অংশ:-
ডিমের সাদা অংশ ভালো করে ফেটিয়ে স্ট্রেচ মার্কের ওপর আলতো করে মাখিয়ে রাখুন। ১৫মিনিট পরে শুকিয়ে গেলে জল দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। তারপর ময়েশ্চারাইজার মেখে নিন। যতদিন না দাগ হালকা হচ্ছে ততদিন এই পদ্ধতি অবলম্বন করুন।।