।। প্রথম কলকাতা ।।
চলতি বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালে মুখোমুখি আর্জেন্টিনা ও ক্রোয়েশিয়া। দুই দেশের এই উত্তেজনাপূর্ণ এই লড়াই দেখতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে আছেন ফুটবলপ্রেমীরা। তবে লড়াইটা আর্জেন্টিনা ও ক্রোয়েশিয়ার মধ্যে হলেও, অনেকেই মনে করছেন লড়াইটা মেসি বনাম মদ্রিচের। দুই ‘এল এম ১০’ টেনের লড়াই। একজন মাঝ মাঠের কারিগর তো একজন ম্যাজিশিয়ান। দুই জনের খেলার ধাঁচ আলাদা হলেও অভিজ্ঞতায় কেউ কারোর চেয়ে কম নন।
২০১৪ সালে জার্মানির বিপক্ষে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হয় আর্জেন্টিনার। সেইবার সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছিলেন লিওনেল মেসি। ৪ বছর পর রাশিয়া বিশ্বকাপে ফ্রান্সের কাছে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হয় ক্রোয়েশিয়ার। গতবার সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন লুকা মদ্রিচ। আর এইবার সেই দুই তারকাই শেষ চারের লড়াইয়ে একে অপরের মুখোমুখি হবে। যেই হারবে তাকেই চিরদিনের মতো বিদায় নিতে হবে বিশ্বকাপ থেকে। হারাতে হবে রাজ্যপাট। বয়স তো এমটাই বলছে। বর্তমানে লিওনেল মেসির বয়স ৩৫ তো অন্যদিকে মদ্রিচের বয়স ৩৭। তাই দুই তারকা যে মেক্সিকোতে ফিরছেন না। তা অবশ্য সকলেরই জানা।
আর্জেন্টিনার গত ম্যাচের নায়ক গোলরক্ষক এমলিয়ানো মার্টিনেজ। নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে টাইব্রেকারে দুটি গোল রুখে দিয়ে আর্জেন্টিনাকে সেমিফাইনালে তোলার অন্যতম কান্ডারি এই মার্টিনেজ। মদ্রিচ-পেরিসিচদের রুখতে আর্জেন্টাইনদের অন্যতম ভরসা মার্টিনেজ। অপরদিকে মেসিদের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতে প্রস্তুত ক্রোয়েশিয়ার দুর্ভেদ্য প্রাচীর দমিনিক লিভাকোভিচ। যার হাতের জাদুতে আটকে গেছে জাপান ও ব্রাজিলের মতো দল।
দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ের পরিসংখ্যানে দুই দলই রয়েছে সমান জায়গায়। এর আগে আর্জেন্টিনা ও ক্রোয়েশিয়া মুখোমুখি হয়েছে মোট পাঁচবার। দুই দলই জিতেছে দুটি করে ম্যাচ। একটি ম্যাচ হয়েছে ড্র। সর্বশেষ দেখায় ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে ৩-০ গোলে জয় পেয়েছিল ইউরোপের দেশটি। ১৯৮৬ সালের পর মারাদোনার পর আর্জেন্টিনার জার্সিতে বিশ্বজয়ের শেষ সুযোগ মেসির। ইতিহাস বলছে সেমিফাইনালে এখনও পর্যন্ত অপরাজিত আর্জেন্টিনা। অন্যদিকে ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপে ফ্রান্সের কাছে হেরে বিদায় নেওয়ার পর প্রথমবার বিশ্বজয়ের হাতছানি তাড়া করে বেড়াচ্ছে মদ্রিচদের। এখন দেখার দুই দলের লড়াইয়ে কোন দল বাজিমাত করে।