।। প্রথম কলকাতা ।।
মায়ানমার অর্ধেক দখল! জুন্টা কি এবার চীনে পালাবে? মায়ানমারের বিদ্রোহী থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়্যান্স এতটা শক্তিশালী হল কীভাবে? কে দিল তাদের অস্ত্র? বেজিংয়ের সমর্থন ছিল তলায় তলায় বিস্ফোরক ইঙ্গিত। ভারত মায়ানমার নিয়ে ঘোষণা করে দিল সতর্কতা। যে মায়ানমারের জুন্টা মিলিটারি সেখানকার সরকার ফেলে দিতে পারে। একটা দেশের সবটা ক্যাপচার করে নিতে পারে। সেই জুন্টাই নাকি এখন দেশ ছেড়ে পালানোর কথা ভাবছে? জুন্টার আসল দুর্বলতাটাই কি ছেড়ে গেছিল সেখানকার বিদ্রোহীরা। তাই সজোরে সেখানেই একেবারে আঘাত? আন্তর্জাতিক মিডিয়ার তথ্য বলছে মায়ানমারের অর্ধেকই প্রায় দখল হয়ে গিয়েছে, জুন্টা এখন পালাবার পথ খুঁজে পাচ্ছে না। কিন্তু একটা দেশের এমন খতরনাক মিলিটারিকে হারাতে গেলে যে পরিমাণ শক্তি প্রয়োজন সেই শক্তি কোথা থেকে কোথা থেকে পেল মায়ানমারে এই বিদ্রোহী দলগুলো? চীনের গোপন খেলা কি বুমেরাং হয়ে গেল?
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিদ্রোহ ঘটিয়ে মায়ানমারে সামরিক শাসন জারি করেছিল সেনাবাহিনী। তারপর থেকেই দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে নানা প্রান্তে শুরু হয় বিদ্রোহ। সম্প্রতি মায়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়্যান্স আর্মি, তাঙ্গ ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি এবং আরাকান আর্মি হাত মিলিয়েছে। এই তিন গোষ্ঠীর জোট ‘থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়্যান্স’ হিসেবে পরিচিত। তিন গোষ্ঠীর জোটের সঙ্গে সেনাবাহিনীর প্রথম সংঘাত ঘটে গত ২৭ অক্টোবর। লড়াই হয় দেশের উত্তর এবং দক্ষিণ-পশ্চিমাংশে দ্বিতীয় সংঘাত। গত ৭ নভেম্বর সে সংঘর্ষে দক্ষিণ-পূর্বের একটি বড় এলাকা দখল করে নেয় ‘থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়্যান্স’। আর সম্প্রতি আরাকান আর্মি একটি প্রদেশ দখল করে নিয়েছে। ‘থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়্যান্স’-এর এই অগ্রগমনে রীতিমতো শঙ্কিত জুন্টা প্রশাসন। পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়ে উঠতে পারে যদি তিন গোষ্ঠীর জোট মায়ানমারের কেন্দ্রস্থল বিশেষ করে মান্দালয়ের উত্তরে সংঘর্ষ শুরু করে এমনটাই দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা।
তাদের অনেকে এটাও বলছেন ‘থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়্যান্স’-এর এই বাড়বাড়ন্ত বেজিংয়ের সমর্থন ছাড়াও সম্ভব নয়। এর মানে চীনই কি উস্কানি দিয়ে এসেছে এতদিন যাতে বিদ্রোহীদের দাপট থাকায় ্জুন্টা খুব বেশি বাড়াবাড়ি না করতে পারে। কিন্তু চীন তো জুন্টারও খুব কাছের তাহলে? কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের অনুমান শুধুমাত্র বাণিজ্যিক কারণে জুন্টা সরকারের পাশে রয়েছে চীন প্রশাসন কিন্তু পরিস্থিতি যেদিকে এগোচ্ছে প্রশ্ন হল, ‘থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়্যান্স’-এর সাফল্যগুলি কি মায়ানমারের বিরোধীদের বিদ্রোহী বাহিনীতে যোগ দিতে উৎসাহিত করবে? যদি তাই হয় তা হলে জুন্টাকে রেডি থাকতে হবে কারণ সামরিক সরকারের জন্য একটি জটিল পরিস্থিতি তৈরি হতে চলেছে। কারণ অনেকেই মনে করেছেন, এটা জুন্টা সরকারের শেষের শুরু হয়েছে।
এরইমধ্যে ভারতের তরফ থেকে মায়ানমারকে নিয়ে বিশেষ ঘোষণা। ভারতীয়দের বলে দেওয়া হয়েছে ইমরাজেন্সি কিছু না হলে এ মূহুর্তে মায়ানমারা সফর এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। অন্যদিকে মায়ানমারে থাকা ভারতীয়দের ইয়াঙ্গুনে থাকা ভারতীয় দূতাবাসে নিজেদের পরিচয় নথিভুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে কোনওসময় ইমারজেন্সি পরিস্থিতি তৈরি হলে ভারত সেই মায়ানমার থেকে সেখানে থাকা ভারতীয়দের ফেরাতে পারে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম