।। প্রথম কলকাতা ।।
জ্বলন্ত চিতা থেকেই বের হচ্ছে হাজার হাজার টাকা। একের পর এক ৫০০ টাকার নোট বেরিয়ে চলেছে এ আবার কোন যাদু! শুনতে অবাক লাগলেও এমনটাই ঘটেছে বাস্তবে। বুঝতে বুঝতে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। ঘটনাটি বসিরহাটের কিন্তু শ্মশানের জ্বলন্ত চুল্লিতে এত টাকা পৌঁছল কীভাবে? বসিরহাটে বৃদ্ধের চিতায় আগুনে বালিশ দিতেই পটপট শব্দ। বৃদ্ধ নিমাইয়ের লাশ যখন বিলীন হয়ে যাচ্ছিল আর তখনই পরিবারের তরফে বলা হয় বৃদ্ধের সঙ্গে তাঁর ব্যবহৃত জমাকাপড়, বালিশ, কাঁথা সব চিতায় দেওয়া হোক। কিন্তু সব ছাই হয়ে যায়। বালিশটা যে কে সেই একই রকম। আবার বালিশ থেকে অদ্ভুত শ্বদ বার হতে থাকে। শ্মশানের এক ব্যক্তি বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে বালিশটি চিরে দুভাগ করে দিতে যেতেই আসল কাণ্ড ঘটল।
বালিশ ফেটে বের হল ৫০০ টাকার বান্ডিল। টাকা বাঁচাতে তখন ঝাঁপিয়ে পড়লেন আত্মীয়-স্বজনরা। রীতিমতো হইচই পড়ে যায় শ্মশান চত্বরে। সামনে এতোগুলো টাকা দেখে চক্ষু তখন চড়কগাছ। ততক্ষণে বেশ কয়েকটি ৫০০ টাকার নোট পুড়ে গিয়েছে। বাকি টাকা উদ্ধার করা হয় কোনো রকমে। টাকা যাওবা মিলল তাও পোড়া। আধ পোড়া ৫০০ টাকার নোট বদলাতে জেলার নানা প্রান্তে হন্যে হয়ে ঘোরেন মৃত ব্যক্তির আত্মীয় পরিজনেরা। তারপরেও আধপোড়া টাকা বদলানো যায়নি। তারপর অবশেষে খোঁজ মেলে হাবড়ায় এক ব্যাক্তির যিনি এই ছেঁড়াফাটা টাকা পরিবর্তনের ব্যবসা করেন ওই ব্যবসায়ী অবশেষে সেই ১৬ হাজার টাকা পাল্টে ৭ হাজার ১৫০ টাকা ফেরত দেন।
জানা যায়, বছর ৫৮ বছরের নিমাই সর্দারের বাড়ি বসিরহাট সীমান্তের ঘোজাডাঙা বর্ডার এলাকায়। নিমাই বাবুর তিন মেয়ে। তাই কাকার মুখাগ্নি করার জন্য এগিয়ে আসেন ভাইপো পঞ্চানন সর্দার। সৎকারের জন্য শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হলেও মৃত ব্যক্তির বালিশের মধ্যেই যে এত টাকা রয়েছেন তা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি কেউ। পেশায় রিকশাচালক নিমাই বাবুর বার্ধক্য জনিত কারণে মৃত্যু। কিন্তু মৃত ব্যক্তির বালিশে কীভাবে এল এতগুলো টাকা? সেনিয়ে প্রশ্ন রয়ে যাচ্ছে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম