বিজেপির প্রেসার ট্যাকটিকস কাজ করবে না, নন্দীগ্রামে জিতবেন মমতাই

।। প্রথম কলকাতা ।।
বাদবাকি পর্বের নির্বাচনের আগে বিজেপি ‘প্রেসার ট্যাকটিকস’ অবলম্বন করতে চাইছে। তাই তারা বলছে নন্দীগ্রামে জিতে যাবে বিজেপি। সেটা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেখানে অনায়াসে জিতবেন। সোমবার (৫ এপ্রিল) তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক সম্মেলনে এমন দাবি করলেন রাজ্যের বিদায়ী মন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু।
উল্লেখ্য নন্দীগ্রাম নির্বাচনের বহু আগে থেকেই তিনি সেখানে ঘাঁটি গেড়েছিলেন। নন্দীগ্রাম নির্বাচন পরিচালনায় তিনি একটা বড় ভূমিকা নিয়েছেন।
সেই জায়গা থেকে পূর্ণেন্দু এদিন জোরের সঙ্গে দাবি করলেন, নন্দীগ্রামে জিতছেন মমতাই। সেই সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে সরব হলেন তিনি। তিনি বলেন, ” নির্বাচন কমিশন সঠিক কাজ করছে না। যে সমস্ত বুথে বিজেপির দাপট ছিল সেখানে দুষ্কৃতীরা দাপিয়ে বেড়িয়েছে। কমিশন সেখানে উপযুক্ত ভূমিকা পালন করেনি। এভাবেই সরব হয়েছেন তিনি।
একুশের নির্বাচনের আগে বিজেপি যে ইস্তাহার প্রকাশ করেছে, সেখানে কৃষকদের সুবিধার্থে একগুচ্ছ ঘোষণা করা হয়েছে। বিজেপি তাদের ইস্তাহারকে ‘ সোনার বাংলা সংকল্প পত্র’ নামে প্রচার করছে। এতে কৃষকদের ভোটের লক্ষ্যে বহু প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। এদিন পূর্ণেন্দু সেই প্রসঙ্গে বলেন, তৃণমূল যেসব কাজ আগেই করে ফেলেছে কৃষকদের জন্য, এখন সেগুলি নকল করে বিজেপি ভোটের লক্ষ্যে প্রতিশ্রুতি হিসেবে তুলে ধরছে।
তিনি বলেন, ” আমরা একর প্রতি প্রত্যেক কৃষককে পাঁচ হাজার টাকা করে দিতাম। সেটা বাড়িয়ে ছয় বাজার করা হয়েছে। তৃণমূল ক্ষমতায় ফেরার পর সেটা দশ হাজার করা হবে। বিজেপি একই কথা বলছে। কিন্তু ওরা টাকা দেবে যেসব কৃষকের দুই একর জমি আছে তার ভিত্তিতে। কিন্তু আমরা টাকা দিচ্ছি এক একরের ভিত্তিতে। অর্থাৎ আমরা অনেক এগিয়ে রয়েছি। বিজেপি শুধু প্রতিশ্রুতি দেয়। কাজের কাজ কিছু করে না।” সেই সঙ্গে গত দশ বছর ক্ষমতায় থেকে তৃণমূল কৃষকদের জন্য কি কি করেছে, সেই ফিরিস্তি এদিন তুলে ধরেন পূর্ণেন্দু।
চাষবাসের পাশাপাশি শস্য সংরক্ষণের ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ সরকার কতটা নজর দিয়েছে, সেই বিষয়ে তথ্যভিত্তিক পরিসংখ্যান দিয়েছেন তিনি। এদিকে বিজেপি দাবি করছে আগামী পর্বের নির্বাচন গুলিতে তৃণমূল মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে না। এই বিষয়ে পূর্ণেন্দু বলেন, ” নির্বাচন গণতন্ত্রের উৎসব। পাঁচ বছর অন্তর নির্বাচন হয়। তাই বেশি যুদ্ধ যুদ্ধ ভাব দেখিয়ে লাভ নেই। তৃণমূলের যে বুথভিত্তিক সংগঠন রয়েছে, এটা দেশের অন্য কোনও দলের নেই। তাই আমরাই নির্বাচনে এগিয়ে রয়েছি”।
পিসিসি