।। প্রথম কলকাতা ।।
Jisshu Sengupta: ১০ বছর অপেক্ষার পর স্বপ্নপূরণ। ট্রফি হাতে তুলল বাংলার দল। দুই মেয়েকে বুকে জড়িয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন যিশু সেনগুপ্ত। বাবার কান্না দেখে দুই মেয়েরও তখন চোখে জল। স্ত্রী নীলাঞ্জনাও তখন কাঁদছেন। গোটা ময়দান সাক্ষী থাকল সেই আবেগঘন মুহুর্তের। জন্মদিনে হেরে যাওয়ার কষ্ট সহ্য করেছিলেন বলেই এই দিনটা এল। প্রথমবারের সেলিব্রিটি ক্রিকেট লিগের ট্রফি এল বেঙ্গল টাইগার্সের হাতে। কেরিয়ারের শুরুতেও চড়াই উতরাই পেরিয়েছেন প্রচুর। সাফল্য চট করে কখনও পাননি যিশু। খেলার ময়দানেও তাই কোন যন্ত্রণা এতোদিন চেপে রেখেছিলেন?
যিশু সেনগুপ্ত প্রমাণ করে দিয়েছেন কারোও এক বারে হয় তো কারোর একশো বারে। কিন্তু মনের জোর আর ইচ্ছে থাকলে সব হয়। সেই ম্যাচ শেষে আবেগ বাধ মানল না গোটা টিমের। মাঠে দাঁড়িয়েই অঝোরে কাঁদলেন অধিনায়ক যিশু সেনগুপ্ত। ক্যাপ্টেনকে কাঁধে তুলে সেলিব্রেশনে মাতল গোটা টিম। পর পর নয় বার ব্যর্থতার পর অবশেষে ফাইনাল পর্যন্ত উঠতে পেরেছে বেঙ্গল টাইগার্স। তবে এটাই তো প্রথমবার নয়
এর আগেও নিজের কেরিয়ার দিয়ে এই শিক্ষা পেয়েছেন পড়ে গেলে আবার উঠে দাঁড়াতে জানতে হয়।প্রথম কোয়ালিফায়ারে কর্নাটকের ।কাছেই হারের মুখ দেখেছিল বাংলা। শুধু সেদিনের ম্যাচেই নয়, গ্রুপ পর্যায়ের ম্যাচেও এই দলের কাছে হেরেছিল। সিসিএলের ইতিহাসে শক্তিশালী কর্নাটকের বিরুদ্ধে একটাও জয় পায়নি বেঙ্গল টাইগার্স তাই আন্ডারডগ হিসাবে ফাইনালে পা দিয়েছিল যিশু অ্যান্ড কোম্পানি। তবে এদিন সব ইতিহাস ওলোট-পালোট করে ট্রফি কলকাতার ঝুলিতে। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর অবশেষে সেলিব্রিটি ক্রিকেট লিগ জয় করল বেঙ্গল টাইগার্স ফাইনাল ম্যাচে তারা কর্নাটকের বুলডোজারের বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিল। ফাইনাল ম্যাচে দুই দলেরই কেউ কাউকে এক ইঞ্চিও জমি ছেড়ে দেয়নি। অবশেষে বেঙ্গল টাইগার্স ১৩ রানে জিতে যায়।
https://www.facebook.com/100082942485331/posts/401069342667812/?mibextid=NTRm0r7WZyOdZZsz
বাংলার হয়ে ফের ব্যাট হাতে ম্যাজিক দেখালেন জ্যামি বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথম ইনিংসে জ্যামির অর্ধশতরানে ভর করেই ফাইনালে দুর্দান্ত শুরু করে বাংলা। প্রথম ইনিংসে আজ এক ইঞ্চি জমি ছাড়েনি বোলাররাও।এদিন ব্যাট হাতে যেমন বেঙ্গল টাইগার্সদের নায়ক জ্যামি, তেমনই বল হাতে জ্বলে উঠেন অভিনেতা রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায়। টুর্নামেন্টের সেরা প্লেয়ার নির্বাচিত হয়েছেন তিনি, ব্যাট হাতেও তৃতীয় সর্বোচ্চ রান স্কোরার রাহুল। গোটা টুর্নামেন্টে রানের নিরিখে এক নম্বরে বাংলার জ্যামি।