Weather Update Today: মঙ্গলবারও তোলপাড় হতে পারে বাংলা, উত্তাল সমুদ্র!

।। প্রথম কলকাতা ।।

 

Weather Update Today: যে কোনো মুহূর্তে লণ্ডভণ্ড করতে পারে টর্নেডো? সঙ্গে চিন্তা বাড়াচ্ছে ঘূর্ণাবর্ত।  আপনার এলাকায় কি রকম বৃষ্টি হলো? গরম কমেছে আদৌ?
তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি তো মিললো। কিন্তু এবার শিয়রে নতুন বিপদ। আজও ১১ জেলায় তাণ্ডব দেখাবে কালবৈশাখী। কোন কোন জেলায় সতর্কতা জারি?

 

বৈশাখের তীব্র তাপ ধুইয়ে দিল সোমবারের প্রবল বৃষ্টি। মঙ্গলবার ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর এবং উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় বৃষ্টির পরিমাণ ১০০ মিলিমিটার বা তার বেশি হতে পারে। বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা মাঝারি বৃষ্টির সঙ্গে প্রতি ঘন্টায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা ঝোড়ো হাওয়ার সতর্কতা জারি। মঙ্গলবার ১১ জেলায় কালবৈশাখীর সতর্কতা। তালিকায় রয়েছে কলকাতা, হাওড়া, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, ঝাড়গ্রাম, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর বাঁকুড়া, হুগলি এছাড়াও উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা। আগামী চারদিন বজ্রবিদ্যুত্‍-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস। আরও নামবে পারদ।

 

আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, ঝাড়খন্ডে তৈরি হয়েছে ঘূর্ণাবর্ত এই ঘূর্ণাবর্ত থেকে মধ্যপ্রদেশ পর্যন্ত। একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা অবস্থান করছে। এর ফলে প্রচুর জলীয় বাষ্প ঢুকছে বাংলায়। সেই সঙ্গে সমুদ্রে দমকা ঝড়ো হাওয়া। যার গতিবেগ ঘন্টায় ৪৫ থেকে ৫৫ কিলোমিটার হতে পারে মৎস্যজীবীদের আগেভাগেই সতর্ক করা হয়েছে। মঙ্গলবার পর্যন্ত সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। দুর্যোগের আশঙ্কায় সুন্দরবনে টর্নেডোর সতকবার্তা জারি করেছে হাওয়া অফিস। উত্তাল হয়ে উঠেছে সমুদ্র।

 

শুক্রবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টির সম্ভাবনা। বৃষ্টির দোসর হবে ঝোড়ো হাওয়া। ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। কলকাতার পাশাপাশি শহরতলির বিভিন্ন জায়গাতেও বৃষ্টি হয়। হুগলির বিস্তীর্ণ এলাকায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে প্রচন্ড দাবদাহে পুড়ছিল কলকাতা। সেই পরিস্থিতিতে এদিন যেন অনেকটাই আরাম আনল এই বৃষ্টি। সব মিলিয়ে আরামের বৃষ্টি নামল কলকাতায় ও শহরতলিতে।

 

অফিস ফেরত অনেককেই এদিন সন্ধ্য়ায় দেখা যায় ছাতা না খুলে হালকা বৃষ্টিতে ভিজছেন। গত কয়েকদিন ধরে যেভাবে তাপমাত্রা হু হু করে বাড়ছিল সেই নিরিখে এদিনের বৃষ্টি যেন অনেকটাই আরাম এনে দেয়।গত কয়েকদিন ধরে কোথায় কত তাপমাত্রা হল তা নিয়েই চর্চা চলছিল বাংলা জুড়ে। এসি, ফ্য়ান, ফ্রিজের দোকানে উপচে পড়া ভিড়। অনেকে কাজ চালানোর মতো সেকেন্ড হ্যান্ড এসি কিনে ঘরে ফিরেছিলেন। তবে এদিন সন্ধ্য়ার বৃষ্টি সব কিছুকে ছাপিয়ে গেল।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version