।। প্রথম কলকাতা ।।
Vastu Shastra: হিন্দুশাস্ত্র মতে বহু দেবদেবীর পুজোর প্রচলন রয়েছে। একেক জন দেবদেবীর পুজোতে একেক রকম নিয়ম মানা হয়। উপকরণের রকমভেদ থাকে। তবে একটা জিনিস যেটা সব পুজোতেই কমবেশি দেখতে পাওয়া যায় তা হল ঘট (Pot)। পুজোর শুরুতেই সর্বপ্রথম পুরোহিত ঘট স্থাপন করেন । আর তারপর সেই ঘটের মাধ্যমেই দেবদেবীকে পুজো অর্পণ করা হয়। অনেক পুজো এমন রয়েছে যেগুলি পুরোহিত দিয়ে করানোর প্রয়োজন পড়ে না। নিজেরাই বাড়িতে করে নেওয়া যায়। যেমন লক্ষ্মীপুজো, সরস্বতী পুজো প্রভৃতি। কিন্তু পুজো করার আগে কিছু নিয়ম আছে । যেগুলি জেনে রাখা উচিত।
সামান্য ভুলে হতে পারে বড়সড় গণ্ডগোল। বাস্তুশাস্ত্র (Vastu Shastra) অনুসারে, পুজো করার কিছু নিয়ম রয়েছে। যেমন ধরুন বাড়ির পুজো সাধারণত মন্দিরেই হয়ে থাকে। তাই মন্দির তৈরি করার সময় বাড়ির উত্তর-পূর্ব দিকে বেছে নিতে হয়। পুজোর ঘটকে কখনই মাটির ওপরে রাখতে নেই এতে বাস্তু দোষ হতে পারে। তাই পুজোর ঘট কাঁচা মাটির উপরে রাখা হয়। অনেকে মাটির (Soil) বদলে প্লেটের ব্যবহারও করে থাকেন । কিন্তু সরাসরি মেঝে বা সাধারণ জায়গায় পুজোর ঘট রাখতে নেই। এছাড়াও পুজোয় ব্যবহার করা শঙ্খের নির্দিষ্ট অবস্থান রয়েছে। যেখানে সেখানে শঙ্খ (Sankh) রাখলেন নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে আপনার জীবনে।
কথিত আছে, শঙ্খে লক্ষ্মীর বসবাস। শঙ্খ যদি বাস্তু মতে রাখা যায় তাহলে সেই দোষ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। তাই শঙ্খ কখনই মাটির উপরে রাখতে নেই। কাপড়ে মুড়ে রাখতে হয় শঙ্খ। বাস্তুশাস্ত্র বলছে, শিবলিঙ্গের উপরে রেশমি কাপড় বিছিয়ে রাখা অত্যন্ত শুভ। এছাড়াও ঈশ্বরের পুজো করার সময় যে কোন মূর্তি বা ছবির মুখ রাখতে হবে পূর্ব দিকে। বাড়ির মন্দিরের দেয়ালের রঙ একই রকম রাখা ভালো। বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে , মন্দিরের জন্য হলুদ , সবুজ রঙ শুভ। পুজো সম্পূর্ণ হওয়ার পর বাড়তি যে উপকরণ গুলি থাকে সেইগুলি সাধারণত ঠাকুর ঘরেই রেখে দেওয়া হয়। এইটাকেই সঠিক নিয়ম বলে মনে করা হয়। কিন্তু বাস্তুশাস্ত্র বলছে পুজোর পর থেকে যাওয়া অতিরিক্ত উপকরণ ঠাকুর ঘরে না রেখে জলে নিক্ষেপ করতে হয়।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম