আরেকটা নতুন যুদ্ধ? মুখোমুখি উঃ কোরিয়া যুক্তরাষ্ট্র! গুলি করে স্পাই ড্রোন ওড়ানোর ওয়ার্নিং, ঘুম হারাম বাইডেনের

।। প্রথম কলকাতা ।।

এবার কি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যুদ্ধে জড়াবে উত্তর কোরিয়া? ওয়াশিংটনকে ওয়ার্নিং দিল পিয়ংইয়ং। সত্যিই কী যুক্তরাষ্ট্র কোরিয় উপদ্বীপে যুদ্ধ উস্কে দিচ্ছে? মার্কিন গোয়েন্দা ড্রোন উত্তর কোরিয়ার আকাশে ঢুকলেই বড় বিপদ। সোজা গুলি করে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি। শঙ্কায় কাঁপছে যুক্তরাষ্ট্র। বন্ধুর বিপদে পাশে দাঁড়ালো দক্ষিণ কোরিয়া। হুমকি উপেক্ষা করলে পস্তাতে হবে ওয়াশিংটন কে। সংকটের মাত্রা আরো বেশি জটিল হবে। আরও একটা যুদ্ধ?

নতুন করে মুখোমুখি অবস্থানে যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়া। যা পরিস্থিতি তাদের যখন তখন যুদ্ধ লেগে যেতে পারে। কিমের হুঁশিয়ারি, মার্কিন গোয়েন্দা বিমানগুলো যদি দেশটির আকাশসীমা লঙ্ঘন করে তাহলে এবার সেগুলোকে সরাসরি গুলি করে ফেলে দেওয়া হবে। এমনকি, উত্তর কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তরফেও কঠোর সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে শত্রু দেশ যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে। উত্তর কোরিয়ার কর্মকর্তারা বারংবার দাবি করে আসছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক গোয়েন্দা বিমান উত্তর কোরিয়ার আকাশসীমা লঙ্ঘন করে দেশটির আকাশে ঢুকে পড়ছে। বিশেষ করে পূর্ব সাগরের দিক দিয়ে মার্কিন বিমান বাহিনীর কৌশলগত গোয়েন্দা ড্রোন একবার নয়, বহুবার উত্তর কোরিয়ার আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছে। যে বিষয়টাকে মোটেই ভালো নজরে দেখছে না পিয়ংইয়ং। তাই এবার সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রকে ওয়ার্ন করা হয়েছে।

বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক আকাশ সীমা লংঘন করে মার্কিন ড্রোন বেশ কয়েকবার উত্তর কোরিয়ার দশ কিলোমিটার পর্যন্ত ভেতরে ঢুকে পড়ে। সেক্ষেত্রে এরপরে এরকম ঘটলে পূর্ব সাগরের আকাশে কোনো মার্কিন গোয়েন্দা বিমানকে যে গুলি করে ফেলে দেওয়া হবে না- তেমন গ্যারান্টি দেওয়া অসম্ভব। পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল হচ্ছে। এখানে একটা বিষয় মনে রাখতে হবে, অতীতের অভিজ্ঞতাও কিন্তু খুব ভালো নয়, যুক্তরাষ্ট্রের কাছে। উত্তর কোরিয়া তার আকাশসীমার কাছে মার্কিন গোয়েন্দা বিমান ভূপাতিত করেছে কিংবা রুখে দিয়েছে, এমন ঘটনা ঘটেছে কিন্তু অনেকবার। তবে, মার্কিন গোয়েন্দা বিমানগুলো কোরীয় উপত্যকার কাছে টহল দিলেও উত্তর কোরিয়ার আকাশসীমা লঙ্ঘনের দাবি যে সত্য নয় সেটা পরিষ্কার ভাবে জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনী কি বলছে? মার্কিন বিমান নজরদারি সরঞ্জামগুলো কোরীয় উপদ্বীপের চারপাশে নিয়মিত নজরদারি চালায়, তাছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র দেশগুলোও উত্তর কোরিয়ার কর্মকাণ্ড নিরীক্ষণের জন্য একসাথে কাজ করে। তবে দুই দেশের মধ্যে যে দ্বন্দ্ব রয়েছে যে উত্তেজনা চলছে তার মাঝে পিয়ং ইয়ং এর যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে তোলা ইহানো অভিযোগ বিষয়টাকে যে আরো বেশি জটিল করবে সেটা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version