অন্য হিসেব শোনা গেল জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের গলায়

।। শর্মিলা মিত্র ।।
রবিবার ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫ তম জন্ম জয়ন্তী অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অপমান করা হয়েছিল। যা নিয়ে সরব হয়েছে প্রায় গোটা বাংলা।
এরপর, আজ হাবরার ইন্দ্রানী গেস্ট হাউসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।
রবিবারের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করার পাশাপাশি আগামী বিধানসভা নির্বাচনের অন্য অঙ্কের হিসেব উঠে আসল খাদ্যমন্ত্রীর গলায়। ‘আগামী বিধানসভা নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টি তাদের প্রতিপক্ষ নয়’ স্পষ্ট মন্তব্য জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের। ‘আগামী বিধানসভা নির্বাচনে যার সঙ্গে লড়াই হবে কংগ্রেস-সিপিএম জোটের সঙ্গে লড়াই হবে। বিজেপির লড়াই হবে না,’ মন্তব্য জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের। পাশাপাশি তার বক্তব্য, ‘বিজেপির তিন সংখ্যায় আসার প্রশ্ন নেই।
হয়তো কংগ্রেস-সিপিএম জোট উঠে আসবে বিজেপির জায়গায়। বিজেপি থার্ড চলে যাবে। দেখুন না।’ সাংবাদিকদের এইভাবেই বলতে শোনা গেল তাকে। অন্য অঙ্কের হিসেব শোনা গেল খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের (Jyotipriya Mullick) গলায়। অন্যদিকে, রবিবারের ঘটনায় তার মন্তব্য, ‘আর বানর সেনা বলব না। বাঁদর বলব। গতকাল বাঁদরের ভূমিকায় এরা কাজ করেছে।’ কটাক্ষ জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের (Jyotipriya Mullick)। ‘একটি সরকারি মঞ্চ প্রোটোকল অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী এলে মুখ্যমন্ত্রীকে থাকতে হয়। সেখানে রাজ্যপালও ছিলেন।’ তার মন্তব্য, ‘কী করে সরকারি কার্ড গুলো বিজেপি পার্টি অফিসে চলে এল, যে সরকারি কার্ড বিশিষ্টজনদের দেওয়া হবে সেই কার্ড কী করে প্রথমে বিজেপি পার্টি অফিস থেকে দেওয়া হল।
আরো পড়ুন : একদিকে আব্বাস অন্য দিকে রুহুল আমিল তৃণমূলের কাছে ভোট ব্যাংক অক্ষত রাখাই চ্যালেঞ্জ
দুদিন ধরে কার্ড দেওয়া হয়েছে। সরকারি অশোক স্তম্ভ ছাপ দেওয়া কার্ড কী করে কোন রাজনৈতিক দলের পার্টি অফিসে যায়? প্রশ্ন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের। একই সঙ্গে তিনি জানান, ‘বিজেপি রাজ্য সভাপতি, ব্যারাকপুরের সাংসদ আর রাজারহাট-নিউটাউনের বিধায়ক এরা বসে এই গন্ডগোল সৃষ্টি করার প্ল্যান তৈরি করে ‘ অভিযোগ খাদ্যমন্ত্রীর। পাশাপাশি তার হুমকি, ‘এই জিনিস কিন্তু একতরফা হবেনা। নিউটনের থার্ড ল প্রয়োগেরও হুমকি দেন তিনি। যে প্রত্যেক ক্রিয়া বা কাজেরই সমান বা বিপরীত প্রতিক্রিয়া থাকে।’ পাশাপাশি তার মন্তব্য ‘রাম একা বিজেপি বা নরেন্দ্র মোদির সম্পত্তি নয়। তিনিও রামের ভক্ত। রামকে সবাই মান্যতা দিই। কিন্তু রামকে রাজনৈতিক মঞ্চে ব্যবহার করা যাবেনা।’ তোপ খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের (Jyotipriya Mullick)।
‘বিজেপি রাজ্য সভাপতি, ব্যারাকপুরের সাংসদ আর রাজারহাট-নিউটাউনের বিধায়ককে বাঁদর বললাম’, তোপ জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের। ‘পারলে মামলা করুক’ হুমকি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের (Jyotipriya Mullick)। একইসঙ্গে তার মন্তব্য, ‘তিনি আমাদের প্রাণের নেত্রী, তিনি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী সর্বোপরি মহিলা তিনি অপমানিত হয়েছেন তার জবাব হবে। প্রস্তুত থাকুন জবাব দেব আমরা। পাশাপাশি ‘বাংলায় গুজরাটি কালচার হবেনা’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তার কটাক্ষ ‘বিজেপি জানেই না সুভাষ বসু কোথায় জন্মেছিল। সুভাষ গ্রাম না কটক না কলকাতা, তাই জানেনা বিজেপি’। অন্যদিকে, সংখ্যালঘুদের বিষয় তার মন্তব্য, ‘ভারতবর্ষের সংখ্যালঘুরা আক্রান্ত হয় গেছেন। সংখ্যালঘুদের বাঁচার জায়গা নেই আশ্রয় নেই। সংখ্যালঘুদের বাঁচার ও আশ্রয়ের নাম হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’