।। প্রথম কলকাতা ।।
China Spy Balloon: আমেরিকার (America) মাঝ আকাশে উড়ছিল বিশাল এক চীনা বেলুন (China Balloon), যাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। এবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক টিভি চ্যানেলের মাধ্যমে প্রকাশ্যে এসেছে একটি সিসিটিভি ফুটেজ (CCTV footage)। যেখানে দেখা যাচ্ছে সেই দৈত্যাকার বেলুনটিকে নামানো হয়েছে সমুদ্রের বুকে। ওই বেলুকে লক্ষ্য করে F-22 ফাইটার জেট থেকে ছোঁড়া হয় AIM- 9X সাইডউইন্ডার মিসাইল। মিসাইলটি প্রায় ছয় মাইল উপরে থাকা বেলুনটিতে গিয়ে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। তারপর তার ধ্বংসাবশেষ নেমে এসেছে সাউথ ক্যালিফোর্নিয়ার একটি বিচের উপর। মূলত যেখানে বেলুনটি উড়ছিল সেখানে আমেরিকায় গুরুত্বপূর্ণ কিছু স্থাপনা রয়েছে। যেমন বিমান ঘাঁটি, ভূগর্ভস্থ কৌশলগত ক্ষেপণাস্ত্র কেন্দ্র প্রভৃতি। বেলুনটির গতিবিধি এবং কার্যক্রম যাচাই করতে আমেরিকা কড়া নজর রেখেছিল।
গত বৃহস্পতিবার থেকেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে উত্তাপ ছড়াচ্ছিল রহস্যজনক বেলুন। বারবার অভিযোগের আঙুল ওঠে চীনের দিকে। চীন নাকি গুপ্তচর হিসেবে এই বেলুন পাঠিয়েছে, যা বিশেষ করে নজর রাখছে মার্কিন পরমাণু কেন্দ্র গুলির উপর। যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকে সেই ছবি এবং দাবি প্রকাশ্যে আনতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। তারপর বাইডেন প্রশাসন সিদ্ধান্ত নেয় যে ফাইটার জেটের মাধ্যমে ওই বেলুনটিকে নিচে নামিয়ে আনা হবে।
অপরদিকে শি জিনপিং (Xi Jinping) সরকার কোনো ভাবেই আমেরিকার এই দাবিকে স্বীকার করেনি। উপরন্তু চীনের বিদেশ মন্ত্রক এক বিবৃতি জারি করে জানিয়েছে, এটি নাকি নিছক একটি দুর্ঘটনা। চীন বারংবার আমেরিকাকে জানিয়েছিল বেলুনটি একটি অসামরিক এয়ারশিপ, যা ভুল করে মার্কিন সীমায় প্রবেশ করেছে। রহস্যজনক বেলুন ধ্বংস হতেই আমেরিকাকে পরোক্ষ ভাবে হুঁশিয়ারি দিয়েছে চীন। দেশটি জানিয়েছে, এর ফল হয়ত ভালো হবে না। আমেরিকা নাকি এই কাজের মাধ্যমে অস্ত্র প্রয়োগ করতে বাধ্য করছে। যার ফলে আন্তর্জাতিক মহলে চীন আর আমেরিকার সম্পর্ক নিয়ে এখন জোর জল্পনা। বহুদিন ধরে তাইওয়ানকে কেন্দ্র করে আমেরিকা আর চীনের মধ্যে ঠান্ডা লড়াই চলছে। যার বহিঃপ্রকাশ যে কোন মুহূর্তে ঘটতে পারে। চীনের বিদেশ মন্ত্রকের দাবি অনুযায়ী, ওই বেলুন দিয়ে একটি অসামরিক চালক বিহীন বিমান, যাকে আমেরিকার ইচ্ছাকৃত ভাবে ফাইটার জেটের মাধ্যমে নিচে নামিয়ে দিয়েছে, যা নিন্দনীয়। পেন্টাগন অহেতুক এই বেলুন কাণ্ডের বিষয়টি নিয়ে জলঘোলা করল। চীন আন্তর্জাতিক আইন সম্পর্কিত সজাগ এবং তা কখনোই লঙ্ঘন করতে চাইবে না। এমনটাই জানিয়েছেন চীনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র। এবার দেখা দেখার এই বেলুন কাণ্ডের জের ঠিক কোথায় গিয়ে পৌঁছায়।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম