বিজেপির সভা মঞ্চের সামনে কালো পতাকা লাগিয়ে বিক্ষোভের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

।। সুদীপা সরকার ।।
বিধানসভা নির্বাচন ঘিরে বিজেপি (bjp) তৃণমূলের মধ্যে বিরোধ ধীরে ধীরে চরম আকার ধারন নিচ্ছে। এমন সময় আজ দমদমের বিজেপির সভা মঞ্চের সামনে কালো পতাকা লাগিয়ে এবং প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ দেখানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে ।বিজেপির যোগদান কর্মসূচিতে উত্তেজনা তৈরি করতে তৃণমূল সভা মঞ্চের সামনে প্ল্যাকার্ড হাতে দাঁড়িয়ে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান তোলে বলে অভিযোগ বিজেপির। স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের দাবি তাদের যে কর্মসূচি রয়েছে তা তারা সুষ্ঠুভাবে পালন করবেন।
এটাই তাদের প্রধান লক্ষ্য। আজকের কর্মসূচিতে বহু মানুষ তৃণমূলসহ বিভিন্ন দল থেকে বিজেপিতে যোগদান করবেন বলে তারা জানিয়েছেন। কে বা কারা তাদের কালো পতাকা দেখাল তা তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার বলেই জানিয়েছে বিজেপি (bjp) নেতৃত্ব। বিজেপির অভিযোগ সভাস্থলের সামনে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা স্লোগান দিতে শুরু করে কালো পতাকা ঝুলিয়ে দেয়। মঞ্চের চারিপাশে কটাক্ষের সুরে ফ্লেক্স ব্যানার টাঙ্গিয়ে দেয় তৃণমূল কর্মীরা অভিযোগ বিজেপির। যদিও বিজেপি তরফে কোন প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি বলে কোনো রকম সংঘর্ষের ঘটনা বা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি বলে তারা জানিয়েছেন।
আরো পড়ুন : আপনি ছাড়া সবাই কৃষি আইনের পক্ষে, কী কারণে মমতাকে এমন বার্তা শুভেন্দুর?
আবার অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেস (tmc) এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি কালো পতাকা দেখানো হয়নি তারা তাদের কর্মসূচি করেছে। ভারতবর্ষ গণতান্ত্রিক দেশ গণতান্ত্রিকভাবে তারা রাজনৈতিক কর্মসূচি করেছেন। কালো পতাকা দেখানোর বিষয় তারা বলেন আমরা মীরজাফর শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে কালো পতাকা দেখিয়েছি। বর্তমানে ভারতীয় জনতা পার্টিকে রাজ্যের বিভিন্ন নীতির বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা যাচ্ছে। গত লোকসভা ভোটে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির বিস্ময়কর ফলাফল যথেষ্ট উদ্দীপনার সৃষ্টি করেছিল গেরুয়া শিবির কে।
এরপর একের পর এক হেভিওয়েট তৃণমূল নেতাদের গেরুয়া শিবির টেনে নিচ্ছে। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে একদিকে যেমন জনসংযোগ বাড়াচ্ছে তার সাথে সাথে বিজেপি প্রত্যেকদিন প্রচার এবং যোগদান কর্মসূচিতে জোড় দিচ্ছে। আর এবার বিজেপির সভা মঞ্চের সামনে কালো পতাকা টাঙিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তৃণমূল-বিজেপি দুই পক্ষই এখন শক্তি প্রদর্শনে ব্যস্ত। বিধানসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসবে এই ধরনের ঘটনা যে আরও প্রকাশ্যে আসবে এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।