ব্রণ হাজা তো বটেই ফোটকিরিতে মুক্তি গলা ব্যথারও

।। প্রথম কলকাতা ।।
যুগ বদলাচ্ছে তার সাথে বদলাচ্ছে মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের চাহিদাও। তেমনি গুরুত্ব কমেছে ফিটকিরিরও। আগেকার দিনে ঘরে স্যাবলন ডেটলের পরিবর্তে ব্যবহার করা হতো ফিটকিরিকে যা আন্টিসেপ্টিক হিসেবে কাজ করতো। এছাড়াও জলে ফিটকিরি ব্যবহার করা হতো জল পরিশ্রত করার জন্য, নোংরা নীচে থিতিয়ে পড়তো। এছাড়াও আফটার সেভিং ক্রিমের পরিবর্তে গেলে ফিটকিরি ঘষে নেওয়াই ছিল চল। আজ সেসব টোটকায় সেসবে এসেছে পরিবর্তন। তবে গবেষণা বলছে নানান ওষুধের খরচা বাঁচাতে পারে এই ফিটকিরি। রয়েছে প্রচুর গুণ।
জেনেনিন ফিটকিরির সেই সব উপকারীতা-
১. সর্বঘটের কাঁঠালি কলা- ফিটকিরিকে সর্বঘটের কাঁঠালি কলা আপনি বলতেই পারেন। যেকোনো জায়গায় কেটে গেলে, রক্ত বন্ধ করতে, রূপচর্চা করতে ফিটকিরি র ব্যবহার হয়। এছাড়াও আন্টিসেপ্টিক হিসেবে যেকোনো ছত্রাক জাতীয় রোগে ভালো কাজ দেয় ফিটকিরি।
২. রক্তপাত বন্ধ করতে- দাড়ি কাটতে গিয়ে গালটা কেটে গেলে, বা কথাও হাতে পায়ে ছোড়ে গেলে, কেটে গেলে যেকোনো আঘাতে রক্তপাত হলে যেখানে ফিটকিরি গুঁড়ো লাগিয়ে দিন নিমেষে বন্ধ হয়ে যাবে রক্তপাত।
৩. গলাব্যাথায় আরাম দেবে ফিটকিরি- ফিটকিরি গুঁড়ো গলা ব্যাথা বা টনসিলেও আরাম দেয়। ঠান্ডা লেগে গেলে গলা ব্যাথা হলে বা গ্লান্ড ফুললে গরম জলে এক চিমটি নুন ও ফিটকিরি গুঁড়ো মিশিয়ে সেই জল দিয়ে বারবার গার্গেল করলেই ব্যাথা গায়েব।
৪. হাজা থেকে মুক্তি- অতিরিক্ত জল ঘাটলে অনেকসময় হাজা হয়। পায়ের পাতা ফুলে যায়। তা নিরাময় করতেও নিশ্চিন্তে ব্যবহার করুন ফিটকিরি ফোটানো জল। এক টুকরো ফিটকিরি জলে ফেলে তা ভালো করে গরম করে নিন। এরপর ঠান্ডা হলে পা বা হাতে যেখানে হাজা হয়েছে তা জলে দিয়ে রাখুন। দুর্দান্ত আরাম পাবেন।
৫. ব্রণ ফাসকুড়ি থেকে মুক্তি- মুখে ব্রণ বা ফাসকুড়ির মতো সমস্যা রয়েছে? কিছুতেই কিছু কমছে না? চিন্তা করবেন না। অনেককিছুই তো ব্যবহার করলেন তবে এবার ফিটকিরি ব্যবহার করুন ফল মিলবেই। রাতে শোয়ার আগে ভালো করে মুখ ধুয়ে নিন এরপর সারা মুখ ভালো করে ধুয়ে নিন এরপর সারামুখে ভালো করে ফিটকিরি ঘসুন। বা ফিটকিরি গুঁড়ো জলে মিশিয়ে মাখুন। তা শুকিয়ে এলেই কিছুক্ষন পর মুখ ধুয়ে ফেলুন। এভাবে নিয়মিত করলে মুক্তি পাবেন ব্রণ ফাসকুড়ির থেকে এবং এর সাথে ফিরবে মুখের উজ্জ্বলতাও
এবার রোজকার জীবনে আনুন ফিটকিরি পাবেন উপরিউক্ত উপকারীতা গুলি।।