।। প্রথম কলকাতা ।।
Dwijen Mukhopadhyay: গানের দুনিয়ার কিংবদন্তি শিল্পী তিনি। বাংলা ও হিন্দি চলচ্চিত্রের গানে নিজের ছাপ রেখে গিয়েছেন। দেড় হাজারেরও বেশি গান রেকর্ড করেছেন, যার মধ্যে ৮০০টি রবি ঠাকুরের (Rabindranath Tagore)। ২০১০-এ রবীন্দ্র সঙ্গীতের জন্য ভারত সরকারের ‘সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমী’ পুরস্কার লাভ করেছেন সুরকার ও গায়ক দ্বিজেন মুখোপাধ্যায় (Dwijen Mukhopadhyay)।
১৯৪৪-এ পেশাদার গায়ক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন দ্বিজেন বাবু। ৪৫ সালে মেগাফোন রেকর্ড সংস্থা থেকে প্রথম বাংলা গানের রেকর্ডিং করেছিলেন। ১৯৪৬-এ আকাশবাণীতে (Akashvani) কাজ শুরু করেছিলেন এই শিল্পী। সেইসঙ্গে এইচএমভি-কলম্বিয়া রেকর্ডিং সংস্থার সঙ্গে রেকর্ডিংও শুরু করেছিলেন। ১৯৫৬-তে লাদাখে (Ladakh) গিয়ে ভারতীয় সৈনিকদের (Indian Army) গান শুনিয়ে আনন্দ দিয়েছিলেন দ্বিজেন বাবু।
পঙ্কজ কুমার মল্লিক (Pankaj Mullick), শান্তিদেব ঘোষ (Santidev Ghosh), সন্তোষ সেনগুপ্ত, অনাদি ঘোষ দস্তিদার, শ্রী সুশান্ত লাহিড়ী ও নীহারবিন্দু সেন সহ সঙ্গীত দুনিয়ার বিশিষ্ট শিল্পীদের কাছে সঙ্গীতের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছিলেন তিনি। তাঁকে বাংলা এবং হিন্দি চলচ্চিত্র (Hindi Cinema) সঙ্গীতের সঙ্গে পরিচয় করিয়েছেন সলিল চৌধুরী। দ্বিজেন মুখোপাধ্যায় ও সলিল চৌধুরীর বন্ধুত্ব শুরু হয়েছিল চল্লিশের দশকের শেষের দিকে, আইপিটিএ-তে তাঁদের যাতায়াতের মধ্যে দিয়ে। আর তারপর এই দুই শিল্পী শ্রোতাদের ‘ক্লান্তি নামে গো’, ‘একদিন ফিরে যাব চলে’, ‘শ্যামল বরণী ওগো কন্যা’র মত একাধিক গান উপহার দিয়েছিলেন। পরে সলিল চৌধুরীর সঙ্গে কাজ করার জন্য মুম্বই (Mumbai) গিয়েছিলেন। সেখানে ‘মায়া’, ‘সপন সুহানে’, ‘হানিমুন’-এর মত হিন্দি চলচ্চিত্রে গান গেয়েছেন লতা মঙ্গেশকরের সঙ্গে।
এরই পাশাপাশি মহিষাসুরমর্দিনীর বিখ্যাত ভক্তিমূলক গান ‘জাগো দুর্গা’ পরিবেশন করেছিলেন তিনি। সেইসঙ্গে ভারতীয় সাংস্কৃতিক প্রতিনিধির সদস্য হিসাবে সোভিয়েত ইউনিয়ন ও পূর্ব ইউরোপীয় দেশসমূহ যেমন- পোল্যান্ড (Poland), রোমানিয়া, চেকোস্লোভাকিয়া (Czechoslovakia), বুলগেরিয়ায় সফর করেছিলেন এই ব্যক্তিত্ব। পেয়েছেন বঙ্গবিভূষণ ও পদ্মভূষণ সম্মান। ২০১৮-র ২৪ ডিসেম্বর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই সঙ্গীতশিল্পী।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম