।। প্রথম কলকাতা ।।
Marriage Tips: পরিবারের লোকজন থেকে শুরু করে পরিচিতরা বিয়ে করার কথা বলছে? ভাবছেন চাপে পড়ে এবার বিয়েটা করেই নেবেন? শুধু সেই কারণে বিয়ে করলে ভবিষ্যতে কিন্তু আপনাকে পস্তাতে হতে পারে। তবে বিয়েতে হ্যাঁ বলার আগে একবার কিছু দিক বিবেচনা করা খুবই জরুরি। তবেই বিয়ে হবে সুখের। সেই বিষয়গুলি কি কি?দেখুন, একটা বয়সের পর জীবনে সবাইকেই থিতু হতে হয়। চাকরি পাকাপাকি হলেই বাড়ি থেকেও বিয়ের চাপ আসতে শুরু করে।
পাত্র-পাত্রী দেখা শুরু করে দেন বাড়ির লোকেরা। আর পাত্র বা পাত্রী আগে থেকে ঠিক থাকলে তো কোনও কথাই নেই। তখন শুধু চার হাত এক করে দেওয়ার অপেক্ষা। কিন্তু ভেবে চিন্তে বিয়ে না করলে পস্তাতে হবে আপনাকেই। তখন আর কেউ নয়, ফ্যাসাদে পড়বেন আপনিই। তাই বিয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে কয়েকটি প্রশ্ন করুন নিজেকে।সেগুলি কি কি?
প্রথমেই ভাবুন আপনি আর্থিকভাবে প্রস্তুত তো? আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন, বিয়ে মানেই বড় আয়োজন। তার খরচও অনেক। নিজেকেই তার সমস্ত দায়িত্ব নিতে হলে পকেটের হালের কথা বিবেচনা করতেই হবে। এটাও মাথায় রাখুন, বিয়ে করা মানেই আর এক জনের দায়িত্ব নেওয়া। দিনে দিনে পরিবারও বড় হবে। সেখানে কিছু অতিরিক্ত দায়িত্বও কাঁধে চাপবে। এসব কিছু সামলানোর মতো আর্থিক স্থিতাবস্থায় পৌঁছেছেন কিনা তা আগে দেখে নিন। আর্থিক চাপ সইতে না পারলে পরে কিন্তু সম্পর্কে স্ট্রেস বাড়তেই থাকবে।
এবার দেখতে হবে তাঁর সঙ্গে পছন্দ মেলে কিনা। সম্বন্ধ করে বিয়ে হলে একেবারেই তাড়াহুড়ো করবেন না। একে অপরকে জানা বা বোঝার জন্য সময় নিন। একসঙ্গে সময় কাটান। দু’জন দু’জনকে আরও কাছ থেকে চিনুন। আপনার ভালো লাগা ও খারাপ লাগার কথা তাঁকে জানান। তাঁরও পছন্দ অপছন্দ জানার চেষ্টা করুন। তাতেই নিজেদের বন্ধন দৃঢ় হবে। পছন্দ-অপছন্দের মিল থাকলে নির্দ্বিধায় বিয়ের জন্য পা বাড়াতেই পারেন। তবে একে অপর না জেনে বুঝে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেবেন না।
এবার দেখুন তো, পরিবার পরিকল্পনা নিয়ে আপনার এবং পার্টনারের চিন্তাভাবনা কি একেবারে মিলে যায়? আপনারা সন্তান চান কিনা বা চাইলেও তা বিয়ের কত বছরের মধ্যে, এসব নিয়ে পার্টনারের সঙ্গে কথা বলে নিতে হবে। আর আপনি সন্তান না চাইলেও তা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিন। আপনার এই ইচ্ছেকে যদি পার্টনার সম্মান জানাতে পারেন, তাহলে এগিয়ে যান। কথা বলুন কেরিয়ার নিয়েও। মনে রাখবেন আপনার কাজের ধরন কিন্তু সম্পর্ককে প্রভাবিত করতে পারে। কিছু কিছু চাকরির ক্ষেত্রে ট্রান্সফারের বিষয় থাকে। আবার কোথাও অনেক রাত পর্যন্তও কাজ করতে হয়। সেক্ষেত্রে আপনার কাজের সময় নিয়ে পার্টনারের কোনও সমস্যা রয়েছে কিনা তাও জেনে নেওয়া জরুরি।
পরে এই নিয়ে সমস্যা হলে মুস্কিল। হয়তো আপনি ঘুরতে ভালোবাসেন। কিন্তু পার্টনার ঘরে থাকতেই বেশি পছন্দ করেন। সেক্ষেত্রে আপনার ঘোরা নিয়ে তাঁর সমস্যা থাকলে আপনার স্বাধীনতাতেই হস্তক্ষেপ হবে। তাই বিয়ে করার জন্য দুজনেরই লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্যও এক হওয়া বাঞ্ছনীয়। এই প্রশ্নগুলি নিজেকে করলেই আপনি জানতে পারবেন বিয়ের জন্য আপনি আদৌ প্রস্তুত কিনা। এবার বিয়ে করা বা এখনই না করার সিদ্ধান্তটা নিয়ে নিন।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম