।। প্রথম কলকাতা ।।
Fish-Snake View: সাপ যা দেখতে পায় আপনি চাইলেও দেখতে পাবেন না। মাছ আর মাছির দুনিয়াকে দেখার মধ্যে পার্থক্য কতটা জানেন? সবুজকে কেন লাল বা কমলা দেখে গরু? আপনার পিছনে কী ঘটছে সেটাও দেখতে পারে গিরগিটি। সত্যিই একেবারে অদ্ভুত এই দুনিয়া? চলুন আজ আমরা আমাদের চারপাশের পশু পাখির চোখ দিয়ে দেখব এই বিশ্বকে। তাহলে বুঝতে পারবেন সত্যিই এই দুনিয়ায় ম্যাজিক কতটা। মাছির তো এতগুলো চোখ সেই চোখের কাজ আসলে কি? বহুমুখী দৃষ্টিশক্তিসম্পন্ন প্রাণী হলো মাছি। হাজারের ওপর ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র চোখ, একই সময়ে একসঙ্গে কাজ করে একটা দৃশ্যপট তৈরি করে। আর মাছি সেটাই দেখতে পায়। তারা অতি বেগুনি রশ্মিও দেখতে পায়। যদিও মানুষের তুলনায় মাছির চোখে পৃথিবী খানিকটা স্লো। মানে শ্লথগতিতে ঘোরে আসলে।
জীবনানন্দ পাখি হতে চেয়েছেন বারবার। তিনি হয়তো বা জানতেন, পাখিদের দৃষ্টি অত্যন্ত তীক্ষ্ণ!অতিবেগুনি রশ্মিতে পাখিরা দেখতে পায়। আর দিনের আলোয় দেখতে পায় রঙের ছায়াও। নিশাচর পাখিরা রাতের অন্ধকারে বেশ স্পষ্ট দেখতে পায়। মানে অনেকটা নাইট ভিশন ক্যামেরার মতো। যেটা আমরা কখনই পারি না। আমরা যেমন মাঠে সবুজ ঘাস দেখি গরুদের কাছে কিন্তু সেই ঘাস একেবারেই সবুজ নয় । তারা তাদের চারণভূমিতে দেখে কমলা বা লাল রঙের ঘাস। আর মাছের মতো তারা খানিকটা বিবর্ধিত দৃশ্যই দেখে। আবার মৌমাছির দৃষ্টিক্ষমতা অত্যন্ত প্রখর। মানুষের চেয়ে তিন গুণ বেশি দ্রুততায় বুঝতে পারে। তারা পৃথিবীকে অতি বেগুনি রশ্মিতেও দেখতে পায়। আর সাপ? সাপ কী দেখে শিকার করতে এগোয় জানেন? সাপের চোখে যা স্ক্যানিং হয় সেটা অন্য কারোর হয় না।
https://www.facebook.com/100069378195160/posts/715158440806756/?mibextid=NTRm0r7WZyOdZZsz
অনেকের ধারণা সাপ চোখে দেখে না। ধারণাটি ভুল তবে এটাও সত্যি যে সাধারণত সাপের দৃষ্টিশক্তি কুকুরের চেয়েও নিম্নমানের। তবে তারা দেখতে পায় অবশ্যই। ভয়ংকর ব্যাপার হলো রাতের বেলা তারা যেকোনো আধুনিক অবলোহিত রশ্মির প্রযুক্তির চেয়েও ১০ গুণ বেশি প্রখরতা দিয়ে তাপীয় বিকিরণ দেখতে পায়। সাপের সামনে গরম রক্তের কোনও জীব ঘুরলে সেটাই হয় শিকার। সাপকে যন্ত্রণা না দিলে সাপও কাউকে যন্ত্রণা দেয় নাসাপের আশপাশে কোনো কিছুর চলাফেরা শুরু হয় তাতে সে প্রচণ্ড বিরক্ত হয়। তখন কপাল মন্দ থাকলে কামড় খাওয়াই স্বাভাবিক!
ঘোড়ার চোখের অবস্থান তাদের মাথার দুপাশে। এতে করে যেমন সুবিধা আছে, অসুবিধাও আছে। পেছনে বা পাশে কোনো বিপদের আশঙ্কা থাকলে তা সামনে আসার আগেই ঘোড়া দেখে ফেলতে পার। সে অনুযায়ী সতর্ক হয়ে যায়। কিন্তু আফসোস, তাদের ঠিক নাকের সামনে কী আছে। চোখের অবস্থানের কারণে তা কখনোই দেখতে পায় না।
গিরগিটি হল প্রকৃতির বেশ আজব এক সৃষ্টি। মজার ব্যাপার হলো, তাদের চোখের মণি দুটোই একসঙ্গে সম্পূর্ণ গোলাকার আবর্তে ঘুরে ঘুরে চারপাশ ইচ্ছেমতো দেখে নিতে পারে। এই ক্ষমতাবলেই তারা দেখতে পারে ৩৬০ ডিগ্রি দৃশ্য! কুকুরের আবার এসবের বালাই নেই। দিনের আলোয় কুকুরের দৃষ্টি ক্ষমতা অত্যন্ত নিম্নমানের। তারা অনেক রঙের কাছেই অসহায় তবে নীল ও হলুদ বেশি করে দেখতে পায় তারা। অন্যদিকে, কুকুর কিন্তু রাতে বেশ ভালো দেখতে পায়। এদিক-সেদিক ছুটে বেড়ানো আর আশপাশের পরিবেশ বোঝার ক্ষমতা তখন কিন্তু বেশ প্রবল।
প্রজাপতিও এক বিশেষ ধরনের কীট! তাদের দৃষ্টিশক্তি অতটা প্রখর নয়। তবে মানুষের তুলনায় অনেক বেশি রং আর রঙের বিভিন্ন ছায়া দেখতে পায়। সেই সঙ্গে অতিবেগুনি রশ্মি তো আছেই। মাছেদের চোখে রং আবার একটু বেশি। মাছেদের চোখে পৃথিবী একটু কাছাকাছি এসে প্রসারিত হয়ে ধরা দেয়। যেমনটা আতশি কাচের মধ্য দিয়ে আমরা দেখি! আর এ কারণেই বোধ হয় মাছ সারাক্ষণ অবাক চোখে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে ছুটোছুটি করে। কি কার চোখ দিয়ে দুনিয়া দেখতে ভালো লাগলো কমেন্ট করে জানান।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম