।। প্রথম কলকাতা ।।
Border Security: ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে শাহের মাস্টারস্ট্রোক। কোন মন্ত্রে প্রতিবেশীদের পেছনে ফেলে এতোটা এগিয়ে ভারত? বর্ডারের জঙ্গল, নদী, পাহাড় মানবে না এই ব্রহ্মাস্ত্র, তিষ্টতে পারবেনা পাকিস্তান। ভারতের মাটিতে ফাঁকফোকর গলে ঢুকছে কোন শত্রু? বর্ডারের এই কড়া সিস্টেমেই কুপোকাত হবে অনুপ্রবেশকারী। স্ট্র্যাটেজির সঙ্গেই বাঁধা ডেডলাইন। বাজপেয়ী টু মোদী, কেন একই অস্ত্রে বারংবার শান দেয় ১৪০ কোটির ভারতবর্ষ? বর্ডারে লোহার বর্ম বানাচ্ছে ভারত। শাহের পাওয়ারেই হবে শত্রু নিকেশ। বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সঙ্গে থাকা ভারতের সম্পূর্ণ বর্ডার এরিয়া বেঁধে দেওয়া হচ্ছে ১০০ ভাগ। দুটো ফ্রন্ট বরাবর প্রায় ৬০ কিলোমিটার প্রসারিত ফাঁকগুলো বন্ধ করার কাজ চলছে জোরকদমে।
এর মধ্যেই এলো ভারতের নেক্সট প্রো প্ল্যানিং। শুরুটা হয়েছে অনেক আগেই। নরেন্দ্র মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে গত ৯ বছরে ভারত-বাংলাদেশ ও ভারত-পাকিস্তান বর্ডারের প্রায় ৫৬০ কিলোমিটারের মধ্যে বেড়া দেওয়া হয়েছে, ফাঁকগুলো বন্ধ করা হয়েছে। আর এবার বেড়ার উপর ভরসা না রেখে ব্রহ্মাস্ত্র নামাচ্ছে ভারত। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের ৪০৯৬ কিলোমিটার এবং ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে ২২৯০ কিলোমিটার এলাকায় দীর্ঘ নদী, পাহাড়ি এলাকা, জলাভূমি। সেখানে বেড়া তৈরি করা কঠিন। তাই এসব এলাকায় অনুপ্রবেশ ঠেকাতে উন্নত প্রযুক্তির গ্যাজেট ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত।
কোনো ফাঁকফোকর থাকবে না বর্ডারে। বর্ডার থাকবে কড়া নিরাপত্তায় বাঁধা। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ৪৫২ টি নতুন সীমান্ত চৌকি ও ৫১০টি পর্যবেক্ষণ টাওয়ার তৈরি করা হয়েছে। ৬৩৭টি সীমান্ত পোস্টে বিদ্যুৎ কানেকশন দেওয়া হয়েছে। গত ৯ বছরে বিভিন্ন ফ্রন্টে পাইপযুক্ত জলের সঙ্গে এই ধরনের ৫০০টি ফেসিলিটি অ্যাড করা হয়েছে। আর ঠিক আগামী ২ বছরের মধ্যে ওই সব সীমান্ত সম্পূর্ণ সুরক্ষিত হয়ে যাবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন অমিত শাহ। ্ভারত মনে করে, বর্ডার সুরক্ষিত না থাকলে একটি দেশের উন্নতি ও সমৃদ্ধি হয় না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে বিজেপি সরকার সেই কাজও করে দেখাবে বলে কনফিডেন্ট শাহ। সেই পরিকল্পনার কথাই উঠে এলো বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের ৫৯তম প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপনে। একই সঙ্গে সাহ পরিস্কার ভাবে জানিয়ে দিলেন কোন টোটকায় এতটা এগিয়ে ১৪০ কোটির দেশ ভারত।
মোদী সরকারের শাসনামলে জম্মু ও কাশ্মীরের ‘হটস্পট’ যুদ্ধে ভারত জয়ী হতে পেরেছে এবং নিরাপত্তা বাহিনী ওই অঞ্চলটায় তাদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছে। চন্দ্রযান মিশনের মাধ্যমে দেশকে চাঁদে নিয়ে গেছে। জি২০ শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করেছে। অর্থনীতিকে ১১তম থেকে পঞ্চম স্থানে নিয়ে এসেছে। সব সম্ভব হয়েছে সীমান্ত সুরক্ষায় বিএসএফের মতো বাহিনী মোতায়েনের কারণে বলছেন অমিত শাহ। যখনই কোনো বিজেপি সরকার ক্ষমতায় এসেছে, অটল বিহারী বাজপেয়ী সরকার থেকে মোদী সরকার পর্যন্ত, সীমান্ত সুরক্ষাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। বাজপেয়ী সরকার সীমান্ত নিরাপত্তার জন্য একটি ‘সমন্বিত’ পন্থা নিয়ে এসেছিল, রাস্তা দেখিয়েছিল। মোদী সরকার শক্তিশালী অবকাঠামো এবং ফ্রন্টে বসবাসকারী স্থানীয় মানুষের জন্য কল্যাণমূলক পদক্ষেপে একের পর এক সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
নিরাপত্তা, উন্নয়ন, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সমানভাবে নজর দিয়েছে। আর এই টেকনিকেই বাকিদেরকে পেছনে ফেলে ভারত তরতর করে এগিয়ে যাচ্ছে নির্দিষ্ট লক্ষ্যের দিকে।ভরসা রাখছে বর্ডারে, বিএসএফে। ১৯৬৫ সালের ১ লা ডিসেম্বর প্রতিষ্ঠিত ভারতের যে সীমান্ত বাহিনীতে প্রায় ২ লাখ ৬৫ হাজার সদস্য রয়েছে। জার্নি শুরুর পর এই বাহিনীকে প্রাথমিকভাবে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের সঙ্গে ৬ হাজার ৩৮৬ কিলোমিটার দীর্ঘ ভারতীয় ফ্রন্ট পাহারা দেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। আর সময়ের সাথে সাথে আজ তারাই ভারতের সবথেকে বড় ভরসার জায়গা হয়ে উঠেছে উন্নতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশকে নিজেদের বুক দিয়ে আগলাচ্ছে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম