।। প্রথম কলকাতা।।
Shaligram Stone: হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষদের মধ্যে প্রকৃতিকে ঈশ্বর জ্ঞানে পুজো করার প্রচলন বহু যুগ ধরেই রয়েছে । গাছ ফুল পাতা জল সূর্য এমনকি পাথরকেও দেবতা জ্ঞানে পুজো করা হয়। এইরকমই হিন্দু ধর্মে শালিগ্রাম শিলাকে পুজো করা হয় ঈশ্বরের প্রতিনিধি হিসেবে। যেমন শিবলিঙ্গকে ভগবান শিবের রূপ মনে করা হয় তেমনি শ্রীবিষ্ণুর ( Vishnu) অন্য এক রূপ মনে করা হয় শালিগ্রাম শিলাকে। কালো রঙের গোলাকার অথবা লম্বাটে ধরনের এই পাথরটি পুজো করা হয় ঠিক দেবতাদের মতো করেই। চলুন জানা যাক হিন্দুদের মধ্যে এই পাথরের গুরুত্ব কী?
প্রচলিত কাহিনী অনুযায়ী, বৃন্দা দেবীর অভিশাপ পাওয়ার পর শ্রীবিষ্ণু বা নারায়ণ শালিগ্রাম নামে পরিচিত হয়েছিলেন । আর তারপর এই পাথরকেও শালগ্রাম বলা হয়। যদিও শিবলিঙ্গকে মন্দিরে রেখে পুজো করা হয় কিন্তু শালগ্রাম পাথরকে কোন মন্দিরে রেখে বিশেষ পুজো করতে দেখা যায় না। বাড়িতে বাড়িতে অবশ্য নারায়ণ শিলা হিসেবে এর পুজো করা হয় । তবে নেপালে একমাত্র শালিগ্রাম শিলার ( Shaligram Stone) একটি মন্দির রয়েছে। সেখানে মহাসমারোহে এই পুজো হয়ে থাকে। যদিও মুক্তিনাথ নামে পরিচিত ওই মন্দিরের যাত্রা পথ অত্যন্ত কঠিন।
বলা হয় , শালিগ্রাম শিলা ৩৩ রকমের হয়। কিন্তু তার মধ্যে থেকে মাত্র ২৪ রকমের শিলাই ভগবান নারায়নের বিভিন্ন রূপ। যে ২৪টি একাদশী রয়েছে সেই একাদশীর সঙ্গে প্রত্যেকটি শালিগ্রাম শিলা কোন না কোন ভাবে জড়িত। আর শালিগ্রাম শিলার এক এক ধরনের আকার নারায়নের এক এক ধরনের রূপকে বোঝায় । যেমন ছোট গোলাকার শালিগ্রাম শিলা ভগবান নারায়ণের ছোট অবতার অর্থাৎ গোপালকে বোঝায় । অন্যদিকে মাছের মতো দেখতে হয় যে শিলা গুলি তা বিষ্ণুর মৎস্য অবতারের প্রতীক। আর কূর্ম অবতার হল কচ্ছপের আকারের শালিগ্রাম শিলা।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম