দিলীপ ঘোষ তাঁর ‘রগড়ে দেব’ মন্তব্যে অনড়, তাঁর জন্যেও ‘যথেষ্ট অসম্মানজনক’, মন্তব্য লকেটের

।। শর্মিলা মিত্র ।।
শিল্পীদের নিয়ে তাঁর করা মন্তব্যে তিনি যে একশো শতাংশ অনড়, তা ইতিমধ্যেই স্পষ্ট করে বুঝিয়ে দিয়েছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। কিন্তু এবার দিলীপবাবুর এই মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করলেন তাঁরই দলের সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। এই বিষয়ে সাংসদ তথা চুঁচুড়া বিধানসভা কেন্দ্রের ভারতীয় জনতা পার্টির প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের মন্তব্য, ‘এই ধরনের মন্তব্য আমি সমর্থন করি না। এবং এটা আমার কাছেও অত্যন্ত অসম্মানজনক।’
প্রসঙ্গত, একটি সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ মন্তব্য করেছিলেন ‘বুদ্ধিজীবীরা সমাজের বোঝা। আমি শিল্পীদের বলেছি, আপনারা গান গান, নাচুন। ওটা আপনাদের শোভা পায়। রাজনীতি করতে আসবেন না। ওটা আমাদের জন্য ছেড়ে দিন। নাহলে রগড়ে দেব। আর শিল্পীরা জানেন, আমি কীভাবে রগড়াই।’ আর নির্বাচনী আবহে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্য তোলপাড় ফেলে দিয়েছে রাজ্য রাজনীতি তথা গ্ল্যামার ইন্ডাস্ট্রিতে। তাঁর এই মন্তব্যর পরই ক্ষোভের আগুন ছড়িয়ে পড়েছে শিল্পীমহলে।
শুরু হয়েছে নানাবিধ বিতর্ক। এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে সমালোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়াতেও। তবে এত কিছুর পরও দিলীপ ঘোষ স্পষ্ট বুঝিয়ে দিয়েছেন, তিনি তাঁর মন্তব্যে অনড়। এবং একইসঙ্গে তিনি আরও বলেন ‘শিল্পীরা শুধু বিতর্ক করতেই জানেন।’ যা আবারও নতুন করে বিতর্ক তৈরি করেছে।
আরো পড়ুন : বিজেপি প্রতিশ্রুতি ভাঙার ক্যাসেট, তীব্র কটাক্ষ অভিষেকের
ইতিমধ্যে অনেকেই দল মত নির্বিশেষে শিল্পীদের উদ্দ্যেশে এই রকম অসম্মানজনক ভাষা প্রয়োগ করার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। ইতিমধ্যেই সরব হয়েছেন রূপাঞ্জন মিত্র, বনি সেনগুপ্তর মতো বিজেপি কর্মীরাও। আর এবার, সেই পালে হাওয়া তুললেন পদ্ম বাহিনীর আরেক নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়ও। যিনি নিজেও একসময় ইন্ডাস্ট্রিতে দাপিয়ে কাজ করেছেন।
দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, তিনি নিজেও একজন শিল্পী। তিনি জানেন, সিনেমা, টিভিতে অভিনেতা-অভিনেত্রীরা কতটা কষ্ট করে কাজ করেন। লাইট, সাউন্ড, ক্যামেরা, দর্শক তাঁদের কাছে ভগবান বলেও জানান লকেট চট্টোপাধ্যায়। পাশাপাশি তাঁর মন্তব্য, ‘আমার অন্য সহ শিল্পীরা কী মন্তব্য করেছেন জানি না, আমি দিলীপবাবুর এই ধরনের মন্তব্যকে কখনওই সমর্থন করি না। এটা আমার কাছেও অসম্মানজনক।’