মহারাষ্ট্রে ২৪ ঘণ্টায় ৫৫ হাজারের বেশি করোনা আক্রান্ত

।। প্রথম কলকাতা।।
দিনে দিনে দেশের করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহতার দিকেই যাচ্ছে। বাড়ছে মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা। মহারাষ্ট্রে একদিনেই শনাক্ত হয়েছেন ৫৫ হাজারের বেশি। এতে প্রায় ভেঙে পড়েছে রাজ্যটির স্বাস্থ্যব্যবস্থা। হাসপাতালগুলোতে দেখা দিয়েছে অক্সিজেনের তীব্র সংকট। এ ছাড়া সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি রুখতে রাজধানী নয়াদিল্লিতে জারি করা হয়েছে রাত্রিকালীন কারফিউ।
এদিকে ব্রাজিল থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনার নতুন ধরনের সংক্রমণে লাতিন আমেরিকার দেশগুলোতে হঠাৎ করেই বাড়তে শুরু করেছে শনাক্তের হার।
এ যেন এমনই এক কঠিন বাস্তবতা যার কোনো শেষ নেই। কোথাও প্রথম, কোথাও আবার করোনার দ্বিতীয় কিংবা তৃতীয় ঢেউয়ে বিপর্যস্ত বিশ্বের একেকটি দেশ।
পরিস্থিতির সবচেয়ে বেশি অবনতি হয়েছে যে কয়টি দেশে তার মধ্যে অন্যতম ভারত। দেশটিতে প্রতিদিনই আক্রান্ত হচ্ছেন এক লাখের বেশি মানুষ। দৈনিক মৃতের সংখ্যা প্রায় প্রায় পাঁচশ। এর মধ্যেই সবচেয়ে ভয়াবহতম পরিস্থিতির শিকার মহারাষ্ট্র। রাজ্যটিতে গত মঙ্গলবার একদিনেই আক্রান্ত হয়েছেন ৫৫ হাজারের বেশি। এ ছাড়া মুম্বাই, পুনে, নাগপুরেও বেড়েই চলেছে সংক্রমণ। পরিস্থিতির চরম অবনতিতে একপ্রকার ভেঙে পড়েছে রাজ্যটির স্বাস্থ্যব্যবস্থা।
এ ছাড়া নয়াদিল্লিতে সংক্রমণের উর্ধ্বগতি রুখতে রাত্রিকালীন কারুফিউ জারি করেছে প্রশাসন। সেই সঙ্গে আগামী কয়েক সপ্তাহ পরিস্থিতির আরও অবনতির আশঙ্কা থাকায়, সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন দেশটির স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
দেশটির এক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ বলেন, সংক্রমণের হার এ মুহূর্ত গতবারের চেয়েও অনেক বেশি। গত বছরের তুলনায় এবার ভাইরাসটি অনেক দ্রুত ছড়াচ্ছে। সামনে আরও কঠিন পরিস্থিতির আশঙ্কা করছি আমরা। আর তাই ভাইরাসটি রুখতে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর কোনো বিকল্প দেখছি না।
ভারতে যখন সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি ঠিক তখন ভাইরাসটির লাগামহীনতায় বিপর্যস্ত লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল। আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যার দিক দিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা দেশটিতে প্রতিদিনই শনাক্ত হচ্ছেন ৩০ হাজারের বেশি। দৈনিক মৃতের সংখ্যা গড়ে প্রায় এক হাজার ৫০০। দেশটি থেকে ছড়িয়ে পড়া নতুন ধরনের করোনাভাইরাসের সংক্রমণে লাতিন আমেরিকাজুড়ে হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে করোনার সংক্রমণ। উরুগুয়ে, প্যারাগুয়ে এবং পেরুতে এরই মধ্যে রেকর্ড ছাড়িয়েছে মৃতের সংখ্যা।
এদিকে বিশ্বব্যাপী করোনার অব্যাহত সংক্রমণ সত্ত্বেও কিছু কিছু দেশে এখনও টিকা কার্যক্রম না হওয়ায় উদ্বেগ জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির প্রধান তেদ্রোস আধানম গ্যাব্রিয়েসুস বলেন, টিকা উৎপাদন এবং এর সুষম বণ্টনই এ মুহূর্তে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
পিসি ডব্লিউ