ভাগবত গীতা আর বাইবেল মুখস্ত করলেই কমে যাবে বন্দিদের সাজা! নয়া প্রস্তাব পাকিস্তানে

।। প্রথম কলকাতা ।।
কোন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বন্দি যদি তাদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ মুখস্থ করেন, সেক্ষেত্রে কমে যাবে সাজার পরিমাণ। পাঞ্জাব প্রদেশের স্বরাষ্ট্র বিভাগ এমন প্রস্তাব পাঠাল মুখ্যমন্ত্রী চৌধুরী পারভেজ এলাহিকে। প্রদেশের কারাগারে খ্রিষ্টান, হিন্দু এবং শিখ বন্দিদের জন্য তিন থেকে ছয় মাসের কারাদণ্ড শিথিল করার জন্য একটি সারাংশ পাঠিয়েছে। শুক্রবার পিটিআইকে এমনটাই জানিয়েছেন একজন সিনিয়র কর্মকর্তা।
পাঞ্জাব সরকারের স্বরাষ্ট্র দপ্তর মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এই সারাংশ পাঠানোর অন্যতম কারণ হল, যাতে খ্রিষ্টান এবং হিন্দু বন্দিরা তাদের পবিত্র গ্রন্থ বাইবেল আর ভাগবত গীতা মুখস্ত করলে সাজার মেয়াদ কমে যায়। এক্ষেত্রে মেয়াদ শিথিল হতে পারে তিন থেকে প্রায় ছয় মাস পর্যন্ত।
আরো পড়ুন : BREAKING : ফের ভূমিকম্প নেপালে, ভোরবেলায় অনুভূত তীব্র কম্পন
এছাড়াও পাঞ্জাবের জেল পরিষেবার অফিসিয়াল ওয়েবসাইট অনুযায়ী, যদি কোন মুসলিম ধর্মের বন্দি পবিত্র কোরআন মুখস্থ করেন সেক্ষেত্রে সাজা কমে যায় প্রায় ছয় মাস থেকে দুই বছর পর্যন্ত। ওই কর্মকর্তা জানান, এবার শুধু অপেক্ষা, মুখ্যমন্ত্রীর অনুমোদনের। তারপরেই সেটা অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে মন্ত্রিসভায়। সবকিছু ঠিক থাকলে হিন্দু এবং খ্রিষ্টান বন্দিদের সাজার মেয়াদ কমার বিষয় নির্দিষ্ট করা হবে স্বরাষ্ট্র বিভাগের তরফ থেকে। এক্ষেত্রে কর্মকর্তা মনে করছেন, এই পদক্ষেপ পাকিস্তানের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বন্দিদের তাদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ অধ্যায়নের ক্ষেত্রে খুব ভালোভাবে অনুপ্রাণিত করবে।
যদিও এই বিষয়ে প্রস্তুতি বেশ কয়েক মাস আগে থেকেই শুরু হয়েছিল। গত মার্চ মাসে লাহোর হাইকোর্ট সংখ্যালঘু বন্দিদের সাজা কমার বিষয়ে পাঞ্জাব সরকারের কাছে একটি প্রতিবেদন পাঠায়। যেখানে বলা হয়েছিল পাকিস্তান জেল বিধিমালা ১৯৭৮ এর বিধি ২১৫ এর অধীনে মুসলিমদের ছাড় দেওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে অন্যান্য ধর্মের বন্দিদেরও অনুরূপ ছাড়ের অনুরোধ করা হয়। আবেদনকারী ছিলেন খ্রিষ্টান ধর্মের ব্যক্তি। বর্তমানে পাঞ্জাবে প্রায় ৩৪টি সংশোধনাগার রয়েছে, যেখানে সংখ্যালঘু বন্দিদের সংখ্যা প্রায় ১১৮৮ জন।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম