Jalpaiguri: আদা বোঝাই লরির আড়ালে চলছে পাচার কাজ, বাজেয়াপ্ত ২০ লক্ষের বার্মাটিক কাঠ

।। প্রথম কলকাতা।।
পুলিশের নাকের ডগা দিয়ে কাঠ পাচারের রমরমা ব্যবসা চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল পাচারকারীরা। গত ৬ সপ্তাহের মধ্যে এই নিয়ে চারবার আটক করা হল কাঠ পাচারকারীদের । বেলাকোবা রেঞ্জে বিগত ৬ সপ্তাহের মধ্যে অভিযান চালিয়ে প্রায় এক কোটি টাকার বার্মাটিক কাঠ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে খবর। আর এবার আরও একবার আদা বোঝাই লরির ভেতর থেকে বের করা হল সারি সারি সাজানো বার্মাটিক সেগুন কাঠ। সূত্রের খবর অনুযায়ী, এই বিপুল পরিমাণ কাঠ আসাম থেকে জলপাইগুড়ি জেলায় আনা হয়। সেই কাঠ গুলিকে পরবর্তীতে হাওড়ায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে খবর। এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে ট্রাকচালকসহ কাঠের মালিককে।
বনদফতর সূত্রে খবর, বেলাকোবা রেঞ্জের রেঞ্জ অফিসার সঞ্জয় দত্তের কাছে গোপন সূত্রে খবর আসে যে, ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে ফের একবার বিপুল পরিমাণ কাঠ পাচার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই প্রাপ্ত তথ্যের উপর ভিত্তি করে রবিবার রায়গঞ্জ ব্লকের পানকৌড়ি এলাকা সংলগ্ন জাতীয় সড়কে এসে উপস্থিত হয় রেঞ্জ অফিসাররা। তাদের কাছে নির্দিষ্ট ওই ট্রাকটির নম্বর ছিল । আর সেই ট্রাকটি দেখতে পেয়েই তাকে দাঁড় করানো হয়। এরপর শুরু হয় তল্লাশি। ট্রাকটিকে বাইরে থেকে দেখে মনে হয়েছিল শুধুই আদার বস্তা রয়েছে সেখানে। কিন্তু একের পর এক আদার বস্তা নামানোর পর দেখা গেল একের পর এক সাজানো রয়েছে কাঠ।
এরপরই গ্রেফতার করা হয় ট্রাকের চালককে। অন্যদিকে জানা যায় গ্রেফতার করা হয়েছে সুশীল কুমার নামে এক ব্যক্তিকেও। সূত্রের খবর অনুযায়ী, সে রাজস্থানের বাসিন্দা। বাজেয়াপ্ত করা হয় ওই বিপুল পরিমাণ কাঠ । জানা যায় সেগুলির বাজার মূল্য প্রায় ২০ লক্ষ টাকা। গত দেড় মাস ধরে প্রায় বার চারেক এইরকম ভাবেই অভিযান চালিয়েছেন বনদফতরের বেলাকোবা রেঞ্জ অফিসার সঞ্জয় দত্ত। তাতেই প্রায় এক কোটি টাকার বার্মাটিক সেগুন কাঠ উদ্ধার করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, গৌহাটি থেকে কাঠগুলিকে হাওড়ায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। তবে আসাম থেকে জলপাইগুড়ি পর্যন্ত জাতীয় সড়কে দুই রাজ্যের বনদফতরের বেশ কিছু চেকপোস্ট রয়েছে। এইখানেই বেশ কয়েকটি পাচারকারীকে আটক করা হয়েছে । কিন্তু এরকম আরও পাচার হচ্ছে বলে অনুমান তাদের।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম