ঈদের আগে হাল ফিরল বাজারের? কী বলছেন বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা

।।প্রথম কলকাতা।।
বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা সারা বছর জুড়ে অপেক্ষায় থাকেন ঈদের। ঈদ ভিতিক ব্যবসা বাংলাদেশে বরাবরই ভাল হলেও করোনা আবহে গত দুই বছরে চারটি ঈদের চিত্র ছিল ভিন্ন। করোনাভাইরাসের কারণে কঠোর বিধিনিষেধে ঈদের আগে বাজার খুলতেই পারেননি ব্যবসায়ীরা। অল্প সময়ের জন্য মার্কেট খুললেও মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা ভাল না থাকায় বেচাকেনা ছিল খুবই কম। ফলে বড় লোকসানের সম্মুখীন হয়েছেন ব্যবসায়ীরা।তবে এবারেও যে পরিস্থিতি খুব বদলেছে তা কিন্তু নয়।
হ্যাঁ করোনার ভয় কাটিয়ে বাংলাদেশ ছন্দে ফিরেছে ঈদ ঘিরে মানুষ জন যথেষ্ট উৎসাহী কিন্তু মূল্য বৃদ্ধির কোপ গিয়ে পড়েছে ঈদের আনন্দে। তাই ব্যবসায়ীদের মুখে এই বছরও সেই আগের মত চেনা হাসি ফোটাতে পারল না খুশির ঈদ।ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন তেমন ভাবে স্বস্তি কিছুতেই ফিরছে না নিত্যপণ্যের বাজারে। কোন কিছুর দাম সেভাবে কমেনি বরং আরো একদফা বেড়েছে সবজি কিংবা মাংসের দাম। অন্যদিকে পোশাকের বাজারেও দামের গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী এমনটাই জানাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।এছাড়াও ঈদের ঠিক আগেই দাম বেড়েছে মাংসের।
এভাবে ঠিক ঈদের আগেই বেশির ভাগ মাংসের দোকানেই বাড়িয়ে দেওয়া দাম নিয়ে ক্রেতাদের মধ্যে দেখা দিয়েছে অসন্তুষ্টি।অন্যদিকে ঈদকেকেন্দ্র করে প্রতিবছরই জমজমাট থাকে বাংলাদেশের মসলার বাজার। সে সুযোগে অনেক ব্যবসায়ী দাম বাড়িয়ে দেন মশলার। কিন্তু এবার দেখা যাচ্ছে ভিন্ন চিত্র। মশলার বাজারে এবার বাড়েনি দাম উল্টে এলাচের দাম কমেছে। তবে বাজারে দাম না বাড়লেও মশলার দোকানে ক্রেতাদের খুব একটা ভিড় নেই।তবে ঈদে বিদ্যুৎ সংকটে পড়তে চলেছে বাংলাদেশ।
এর ফলে ঈদে আলোকমালায় সেজে উঠবে না পদ্মার দেশ। মূলত জ্বালানি সংকটের কারণে বাংলাদেশের সরকার আলোক সজ্জা বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে। যেভাবে দাম বাড়ছে জ্বালানির সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া ছাড়া আর উপায় ছিল না।তাই সব মিলিয়ে যে এই ঈদও বাংলাদেশে খুব স্বস্তি নিয়ে এল তা কিন্তু বলা যাচ্ছে না তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন আগের তুলনায় কিছুটা স্থিতিশীল বাজার। তবে তাতেও যে বিক্রেতাদের মুখে খুব হাসি ফুটেছে তা কিন্তু নয়।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম