Nasa-র এই স্পেস স্যুটের দাম ১১ হাজার কোটি টাকা, কি কি বিশেষত্ব রয়েছে এই পোশাকে?

।। প্রথম কলকাতা ।।
প্রায় হলিউড ছবিতে মহাকাশচারীদের বিশেষ পদ্ধতিতে তৈরি স্পেস স্যুট পড়ে থাকতে দেখা যায়। মহাকাশ, চাঁদে কিংবা মঙ্গলের ভূমিপৃষ্ঠে হাঁটার জন্য এই স্পেস স্যুট তৈরি করে মহাকাশ সংস্থাগুলি। কিন্তু কখনো ভেবেছেন এগুলির দাম কত হতে পারে? সাম্প্রতিক এক রিপোর্ট থেকে জানা গেছে, নভোচারীদের জন্য এই স্পেস স্যুট বানাতে কোটি কোটি টাকা খরচ হয় অ্যারোস্পেস সংস্থাগুলির।
উদাহরণস্বরূপ, ১৯৭৪ সালে বানানো একটি স্পেস স্যুট বানাতে নাসার (NASA) খরচ হয়েছিল ১৫ মিলিয়ন ডলার থেকে ২২ মিলিয়ন ডলার। মুদ্রাস্ফীতিকে মাথায় রেখে হিসাব করলে ২০২২ সালে এই অর্থ দাঁড়ায় প্রায় ১৫০ মিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকারও বেশি খরচ হয়েছিল নাসার কেবল একটি স্পেস স্যুট বানাতে।
২০০৯ সালের পর, স্পেস স্যুট পরিকাঠামোয় ২০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে নাসা। সম্প্রতি xEMU নামক একটি স্পেস স্যুট প্রোটোটাইপও উন্মোচন করেছে নাসা। কিন্তু জানলে অবাক হবেন, স্পেস স্যুটের অভাবে ভুগছে নাসা। যতগুলি স্পেস স্যুট তাদের কাছে রয়েছে তার মধ্যে বেশিরভাগ অনেক বছর পুরোনো এবং কার্যকর নয়। তাই বিপুল পরিমাণ অর্থ ঢেলে স্পেস স্যুট বানাচ্ছে এই আমেরিকান স্পেস এজেন্সি।
তবে প্রশ্ন হলে এই স্পেস স্যুট গুলি এতো দামি হয় কেন?
বিশেষজ্ঞদের মতে, স্পেস স্যুট হল আপনার চেহারার মানানসই ছোট খাটো একটি স্পেসশিপ (যাতে করে আপনি মহাকাশে পৌঁছন)। সূর্য এবং অন্যান্য বস্তু থেকে নির্গত রেডিয়েসন থেকে বাঁচায় এই স্পেস স্যুট। এছাড়া মহাকাশে দ্রুত বয়ে চলা কণা যেগুলি প্রতি ঘন্টায় ১৮ হাজার মাইল ভ্রমণ করে, এগুলি থেকে রক্ষা করে স্পেস স্যুট। তাছাড়া অক্সিজেন, যোগাযোগ, টেলিমেট্রি এবং অন্যান্য সবকিছু যা একজন মানুষের বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজন, সবই একটি ক্ষুদ্র, মানব-গঠিত স্পেস স্যুটে দেওয়া থাকে।
সাধারণত একটি স্পেস স্যুটের জীবনকাল ১৫ বছর অবধি হয়, এই সময় অতিক্রম হয়ে গেলে সেটি ব্যবহারযোগ্য থাকে না। যেহেতু এগুলি বানানো অত্যন্ত ব্যয়বহুল তাই পৃথিবীতে স্পেস স্যুটের সংখ্যা এখনও অনেক কম।
ভারতে কাছে রয়েছে স্পেস স্যুট?
হ্যাঁ, ISRO এর সংগ্রহে একটি নয় দুটি স্পেস স্যুট রয়েছে। আরও একটি স্পেস স্যুট বানানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় মহাকাশ সংস্থা। ২০১৮ সালের বেঙ্গালুরুর স্পেস এক্সপো অনুষ্ঠানে এই স্পেস স্যুট প্রদর্শিত করেছিল ইসরো।

বিক্রম সারাভাই স্পেস সেন্টারে প্রায় দু বছর সময় নিয়ে কমলা বর্ণের এই স্পেস স্যুট বানিয়েছে ইসরো। যা ব্যবহৃত হবে পরবর্তী মহাকাশ অভিযানে। এই অভিযানে মহাকাশে মানুষ পাঠাবে ইসরো।জানা গিয়েছে, স্যুটটি একটি অক্সিজেন সিলিন্ডার ধরে রাখতে পারে, যার দ্বারা একজন নভোচারী ৬০ মিনিটের জন্য মহাকাশে শ্বাস নিতে পারবেন। শুধু স্যুট নয় এই অভিযানের জন্য বিশেষ ক্রু-ও তৈরি করেছে ইসরো।