Bhatpara:পুরবোর্ডের মিটিংয়ে কাউন্সিলরদের হাতাহাতিতে রণক্ষেত্র ভাটপাড়া, ঘটনাস্থলে পুলিশ

।। প্রথম কলকাতা।।
ভাটপাড়া প্রায়ই কোন না কোন কারণের জন্য উত্তপ্ত হয়ে ওঠে । বোমাবাজি কিংবা গুলি বর্ষণ সেখানে নতুন কোন বিষয় নয় । আর এবার পুরসভার বোর্ড মিটিং চলাকালীন কাউন্সিলরদের মধ্যে ধস্তাধস্তির ছবি প্রকাশ্যে আসে যা ঘিরে ফের একবার সমালোচনা শুরু হয়েছে । ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার দুপুরে। দুই কাউন্সিলরের মধ্যে শুরু হয় হাতাহাতি। আর তারপর এই বিষয়টিকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় সেখানে। পরিস্থিতি বেগতিক হওয়ায় ঘটনাস্থলে আসতে হয় পুলিশকে। সামাল দিতে হয় গোটা পরিস্থিতি। তবে এই ধস্তাধস্তির ঘটনা পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সহ অন্যান্য কাউন্সিলররা।
জানা যায় ,টেন্ডার নিয়োগ এবং ছাঁটাই সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আজ বৈঠকে ভাটপাড়া পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সত্যেন রায়ের সঙ্গে ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তরুণ সাউয়ের বচসা বাঁধে। তারপর শুরু হয় হাতাহাতি । ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত হয় পুলিশ । পুরসভার ভেতরের এই ঘটনার একটি ভিডিও প্রকাশ্যে আসে আর তা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন-উঠতে শুরু করে। যদিও পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান এবং অন্যান্য কাউন্সিলররা এই বিষয়টি এড়িয়ে গিয়েছেন। তাঁরা জানিয়েছেন কোনরকম গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নয় সামান্য বাক্যবিনিময় হয়েছিল সেই সময়, যদিও সেটি বৈঠকের আগে।
এদিন পুরসভার এই গন্ডগোল নিয়ে ভাটপাড়া পুরসভার চেয়ারপার্সন রেবা রাহা জানান , কোন গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নয় সামান্য ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল । তা পরবর্তীতে নিজেদের মধ্যেই মিটে গিয়েছে, এছাড়াও বাইরে পুলিশ আসার বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না বলে জানিয়েছেন। অন্যদিকে, পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান দেবজ্যোতি ঘোষ বলেন বৈঠকের সময়ে এই ঘটনা ঘটেনি, যা ঘটেছে তা বৈঠকের আগে । কারা ছবি তুলেছে সে বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি। সকলের মতামত এক হবে এই রকম তো হতে পারে না আর মত পার্থক্য হলেই তাকে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের আখ্যা দেওয়া যায় না । কাজেই বৈঠকের সঙ্গে এই ঘটনার কোন যোগসূত্র নেই বলে দাবি তাঁর।
উল্লেখ্য, এই একই রকম ঘটনা ঘটে দমদম পুরসভার বোর্ড মিটিংয়ে। তৃণমূল পরিচালিত দমদম পুরসভায় আজ একটি মিটিং এর আয়োজন করা হয়েছিল। তবে সেই মিটিং থেকে শাসক দলের ১৭ জন কাউন্সিলর বেরিয়ে যান। তাঁরা পুরপ্রধান এবং উপ পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্ব মূলক আচরণের অভিযোগ তোলেন। আর তারপরে মিটিং এর শুরুতে নিজেদের বক্তব্য জানিয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে যান। যার ফলে ফের একবার শাসক দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে। যা নিয়ে অস্বস্তিতে ঘাসফুল শিবির।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম