বড় খবর: উদয়পুরের নৃশংস খুনের ঘটনায় পাকিস্তানী যোগ, চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে

।। প্রথম কলকাতা।।
হজরত মহম্মদকে নিয়ে করা প্রাক্তন বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার বিতর্কিত বক্তব্যকে সমর্থনের কারণে উদয়পুরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুন করা হয়েছে পেশায় দর্জি কানহাইয়ালাল তেলিকে। তাঁর দোকানে গিয়ে মাংস কাটার ছুরি দিয়ে তাঁর গলা কেটে খুন করেছে দুই দুষ্কৃতী। যারা হল রিয়াজ আখতার ও গিয়াস মহাম্মদ।
এই গিয়াস মহম্মদের সঙ্গে পাকিস্তানের চরমপন্থী ধর্মীয় সংগঠন দাওয়াত-ই-ইসলামির যোগ ছিল। দাওয়াত-ই-ইসলামির সদস্য হয়েছিল গিয়াস। ২০১৩ সালের শেষ দিকে ভারতের ৩০ জন যুবককে নিয়ে পাকিস্তানের করাচিতে গিয়েছিল গিয়াস। যেখানে তার সঙ্গে ছিল উদয়পুরের দুজন সন্দেহভাজন রিয়াসাত হুসেনও আবদুল রাজাক। ৪৫ দিন পাকিস্তানে থেকে ২০১৪ সালে তারা ভারতে ফিরে আসে। এরপর নেপাল ও দুবার সৌদি আরবে গিয়েছিল গিয়াস মহম্মদ।
জানা যাচ্ছে, পাকিস্তানের গিয়াস দাওয়াত-ই-ইসলামির সালমান ভাই আববু ইব্রাহিমের সঙ্গে সবসময় যুক্ত থাকত। বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্যের পর সালমান ভাই ও আব্বু ইব্রাহিম ভারতেও কঠোর প্রতিক্রিয়া দেবার নির্দেশ দিয়েছিল। এরপর গত ২০ সে জুন তাদের একটি বৈঠক বসে। সেখানেই দর্জি কানহাইয়ালালকে হত্যার পরিকল্পনা চলে।
কানহাইয়ালালকে হত্যার পর আজমীর শরীফ দরগায় চলে যাবার পরিকল্পনা ছিল রিয়াজ আখতার ও গিয়াস মহাম্মদের। কিন্তু শেষপর্যন্ত সে প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। এদিকে, ময়নাতদন্তের পর কানহাইয়ালালের মৃতদেহ পরিবারের সদস্যদের কাছে পাঠানো হয়েছে। কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে। শহরের একাধিক থানা এলাকায় কার্ফু জারি করা হয়েছে। উদয়পুর জুড়ে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
#BREAKING When was the first threat made to Kanhaiya Lal? Why did the police ignore his SOS? Why Kanhaiya was arrested instead of the butcherers?@_anshuls with more details.
— News18 (@CNNnews18) June 29, 2022
Join the broadcast with @ridhimb #Udaipur pic.twitter.com/m71amAIJil
তথ্যসূত্র: News 18
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম