CBI: এবার নজরে সায়গলের ছয় মামার সম্পত্তি! নিজাম প্ল্যালেসে তলব সিবিআইয়ের

।। প্রথম কলকাতা।।
গরু পাচার মামলায় তদন্ত করতে নেমে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকরা জিজ্ঞাসাবাদ করেন বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে(Anubrta Mondal)। তারপর তাদের সন্দেহ যায় তাঁর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের দিকে। তদন্ত যত এগিয়ে চলে একের পর এক তথ্য সিবিআইয়ের হাতে আসতে থাকে। জানা যায় অনুব্রত’র দেহরক্ষী সায়গল প্রায় চারটি ফ্ল্যাট , পাঁচটি বাড়ি ,চারটি চারচাকা গাড়ি থেকে শুরু করে পেট্রোল পাম্প সহ পাথরের খাদান প্রভৃতির মালিক । কিন্তু সেই সকল সম্পত্তি তাঁর নিজের নামে নেই। রয়েছে তাঁর ছয় মামার নামে। যদিও বর্তমানে সিবিআইয়ের হেফাজতে রয়েছে সায়গল।
বুধবার সাইগলের ৬ মামাকে নিজাম প্ল্যালেসে তলব করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল । তবে এদিন মাত্র তিন জনই এসে হাজিরা দেন। একজন অসুস্থতা জনিত কারণে উপস্থিত থাকতে পারবেন না জানিয়ে চিঠি দেন সিবিআই কে এছাড়াও বাকি দুজনের তরফ থেকে কোনো কিছু জানানো হয়নি বলে জানা গিয়েছে সিবিআই সূত্রে । এদিন সায়গলের ওই তিন মামাকে দু’ঘণ্টার বেশি সময় ধরে জেরা করেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা । জানা গিয়েছে যে সায়গলের সম্পত্তির হিসাব করতে গিয়ে একাধিক জায়গায় তাঁর মামাদের নাম উঠে এসেছে । সিবিআইয়ের সন্দেহ সে তা্র মামাদের নামে নিজের সম্পত্তি গুলি রেখেছিল যাতে তাকে জবাবদিহি না করতে হয়।
জানা যায়, তাঁর মামাদের নামে একাধিক জায়গায় একাধিক সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। কোথাও পাথরের খাদান পাওয়া গিয়েছে আবার কোথাও ডাম্পার ,ট্রাক পাওয়া গিয়েছে তাদের নামে । তাই সায়গলের মামাদের আয় এবং ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা । সিবিআইয়ের দাবি গরু পাচার মামলায় ওতপ্রোতভাবে ভাবে জড়িয়েছিল সায়গল হোসেন । তিনি মূলত মধ্যস্থতার কাজ করতেন। আর তা থেকেই মোটা টাকা কমিশন আসতো তাঁর হাতে । ওই টাকা দিয়েই একের পর এক সম্পত্তি কিনতে শুরু করেন সায়গল । আর সেই গুলিকে তাঁর মামাদের নামে রাখতে শুরু করেন। তবে এবার তদন্তকারী আধিকারিকদের নজর সায়ডলের ছয় মামার উপরেও । আদৌ ওই সম্পত্তিগুলি তাদের নাকি সায়গলের টাকায় কেনা তাদের নামের সম্পত্তিগুলি তা তদন্ত করে দেখছে সিবিআই।