ঝালদা উপনির্বাচনে জয়ী নিহত তপন কান্দুর ভাইপো, পানিহাটিতে জয়ী তৃণমূল

।।প্রথম কলকাতা।।
ঝালদার উপ নির্বাচনে জয়ী নিহত কাউন্সিলর তপন কান্দুর ভাইপো মিঠুন কান্দু। অর্থাৎ তৃণমূল প্রার্থীকে পিছনে ফেলে এগিয়ে গেলেন কংগ্রেস প্রার্থী। ফল প্রকাশ হতেই মিঠুন বলেন, ’এই জয় আমার কাকুর জয়, আমার কাকিমার চোখের জলের জয়।’এদিকে চন্দননগরের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে জিতেছেন বামপ্রার্থী। পানিহাটিতে জয়ে পেল তৃণমূল। ঝালদায় জয়ী হলেন কংগ্রেস প্রার্থী তপন কান্দুর ভাইপো মিঠুন। ৭৭৮ ভোটে জয়ী হয়েছেন তিনি। জয়ের পর কাকা তপন কান্দুকে এই জয় উৎসর্গ করলেন তিনি। এছাড়াও পানিহাটিতে জয়ী প্রয়াত কাউন্সিলর অনুপম দত্তর স্ত্রী মীনাক্ষী দত্ত।
এদিন গণনা শুরু হতেই কংগ্রেসের জয়ের খবর আসে। ঝালদা পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডে বড় জয় কংগ্রেসের। নিহত তপন কান্দুর ওয়ার্ডেই জয়ী হল কংগ্রেস। ৭৭৮ ভোটে জয়ী হয়েছেন কংগ্রেস প্রার্থী মিঠুন কান্দু। মিঠুন কান্দু জানিয়েছেন, জয় আগেই নিশ্চিত ছিল। মিঠুন কান্দুর বিপুল ভোটে জয়ে স্বাভাবিকভাবেই উচ্ছ্বাসে ভাসল গোটা পুরুলিয়া।
উল্লেখ্য গত ১৩ মার্চ কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুকে হত্যার আলোড়ন ফেলেছিল গোটা রাজ্যে। এরপর ওই ওয়ার্ড থেকে কংগ্রেসের তরফে প্রার্থী করা হয় তপন কান্দুর ভাইপো মিঠুনকে। যদিও আজ জয়ের দিনে একেবারেই মন ভালো নেই তার। বারবার কাকার কথা মনে পড়ছে। তিনি বলেন, “এর আগের ভোটে কাকু ছিল ভিতরে আর আমি বাইরে। আর আজ আমি ভিতরে কাকু কোথাও নেই।
মিঠুন কান্দু আরও বলেন, যেভাবে তার কাকাকে খুন করা হয়েছিল, তেমন ঘটনা যেন আর না ঘটে। রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকতেই পারে। কিন্তু ঝালদার মানুষ যেন মিলেমিশে থাকেন। প্রসঙ্গত, গত পুরভোটে ১২৪ ভোটে জয়ী হয়েছিলেন তপন কান্দু। কিন্তু এবার মিঠুনের জয়ের মার্জিন অনেকটাই বেশি।
অন্যদিকে উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটির ৮ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী নিহত তৃণমূল কাউন্সিলর অনুপম দত্তের স্ত্রী মীনাক্ষী দত্ত। ২২৭৪ ভোটে জয়ী হয়েছেন তিনি। জয়ের পর মীনাক্ষী দত্ত বলেন, ‘এই জয় অনুপমের জয়, আমি অনুপমের দেখান পথেই চলব।’ মিঠুনের বিপক্ষ কংগ্রেস প্রার্থী জগন্নাথ রজকের প্রাপ্ত ভোট ১৫২। বিজেপি প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোট মাত্র ৩২। এদিকে অন্তর্ঘাতের অভিযোগ করেছেন তৃণমূল প্রার্থী জগন্নাথ রজক। তিনি বলেন, ‘জয় প্রত্যাশিত ছিল। পিছন থেকে ছুরি মারা হল। ঝালদা শহর তৃণমূল কংগ্রেস এই কাজ করল।’
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম