সরকারি হাসপাতালে মেঝেতেই শুয়ে প্রাক্তন বাম বিধায়ক, ১৮ ঘন্টা পর মিলল বেড

।। প্রথম কলকাতা।।
সরকারি হাসপাতালে সকলকে সমান পরিষেবা দেওয়া হয়ে থাকে। কারও জন্য বেশি কিংবা কারও জন্য কম নয় । তবে সেই জায়গায় চিকিৎসা করাতে এসে প্রায় ১৮ ঘণ্টা মেঝেতে শুয়ে কাটাতে হল প্রাক্তন বাম বিধায়ককে । এক সময়ের দাপুটে নেতা শারীরিক অসুস্থতার কারণে বর্তমানে ভর্তি হাসপাতালে। তবে বেড জোটেনি তাঁর। এমনকি মেঝেতে বিছানা করার মতন কোনো সরঞ্জামও দেওয়া হয়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে। কাজেই হাসপাতালের পরিষেবা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এই প্রাক্তন বিধায়ক।
দিবাকর হাঁসদা যিনি ঝাড়গ্রামের বীনপুরের ২০১১ সালের বাম বিধায়ক ছিলেন তিনি গত পরশুদিন মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে গলব্লাডার অপারেশনের জন্য ভর্তি হন । তবে তাঁর অভিযোগ , তিনি ভর্তি হওয়ার পরে তাকে বেড দেওয়া হয়নি। মেঝেতে শুয়িয়ে রাখা হয়েছিল । বেডের ক্ষেত্রে সমস্যা থাকতেই পারে কিন্তু মেঝেতে তিনি কোথায় থাকবেন সেই ব্যবস্থা টুকু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে করা হয়নি। তাকে বাইরে থেকে পলিথিন কিনে এনে নিজের ব্যবস্থা নিজেকে করতে হয়। প্রায় ১৮ ঘণ্টারও বেশি সময় তাকে এইভাবে মেঝেতে কাটাতে হয়েছে । যার কারণে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উপর ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন তিনি।
অবশেষে এই ঘটনা জানাজানি হতে গতকাল রাত ন’টা নাগাদ তাকে স্থানান্তরিত করা হয় মেন সার্জিক্যাল ওয়ার্ডের একটি বেডে। ওয়ার্ড মাস্টার সঞ্জীব গোস্বামী এই প্রসঙ্গে সাফাই দেন। তিনি বলেন, এই হাসপাতালের বেড সংখ্যা যথেষ্ট কম থাকায় এই সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। হাসপাতালে বর্তমানে বেডের সংখ্যা ৬০০ হলেও রোগীর সংখ্যা বহু । রোগীদেরকে যেহেতু রেফার করা যায় না,অন্তত প্রাথমিক চিকিৎসা টুকু করতে হয় । যে কারণে বহু রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাই বেড কম পড়ায় অনেক সময় রোগীদেরকে মেঝেতে থাকতে হয় । এছাড়াও ওয়ার্ড মাস্টার জানান যে , দিবাকর বাবু প্রাক্তন বিধায়ক ছিলেন সে বিষয়ে খবর ছিল না তাঁর কাছে । তবে বিষয়টি জানার পরেই তাকে বেডের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। তবে হাসপাতালের এই পরিষেবা নিয়ে যথেষ্ট ক্ষুব্ধ প্রাক্তন বিধায়ক।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম