Kolkata: বাড়ি থেকে চুরি সোনার গয়না! পুলিশি জেরার মুখে পড়তেই স্বীকারোক্তি পরিচারিকার

।। প্রথম কলকাতা।।
বাড়ির কাজে সহযোগিতা করার জন্য কিছুদিন পূর্বে আয়া সেন্টার থেকে একটি পরিচারিকাকে নিয়ে এসেছিলেন সল্টলেকের এক বাসিন্দা। তবে এক সপ্তাহ না যেতেই তাঁর বাড়িতে খোয়া যায় বেশ কিছু সোনার গয়না। যেহেতু সেই সময় বাড়িতে একাই থাকতেন ওই পরিচারিকা তাই সন্দেহ গিয়ে পড়ে তাঁর ওপরে। সোজা বাড়ির মালিক গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন বিধান নগর উত্তর থানায় । আর তারপর পুলিশ অভিযোগের ভিত্তিতে জিজ্ঞাসাবাদ করে ওই পরিচারিকাকে । লাগাতার পুলিশি জেরার মুখে অবশেষে নিজের কুকীর্তির কথা স্বীকার করে নেয় ওই পরিচারিকা। বর্তমানে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, সল্টলেকের এক বাসিন্দা বাড়ির কাজে সহযোগী হিসেবে সুস্মিতা বসাক নামে এক পরিচারিকাকে নিযুক্ত করেছিলেন। সুস্মিতার খোঁজ পান তিনি একটি আয়া সেন্টার থেকে। ৫ দিন আগে তাকে বাড়ির পরিচারিকার কাজে নিযুক্ত করেন । পাঁচ দিন ধরে কাজ করছিল সে ওই বাড়িতে । কিন্তু হঠাৎ বাড়ির মালিক দেখতে পান যে তাঁর বাড়ি থেকে কিছু সোনার গয়না উধাও। অনেক খোঁজাখুঁজির পরেও সেই গয়না উদ্ধার করতে না পেরে চিন্তিত হন বাড়ির মালিক। অবশেষে তাঁর সন্দেহ হয় পরিচারিকার উপর।
তিনি গয়না চুরি যাবার অভিযোগ দায়ের করেন বিধান নগর উত্তর থানায় । তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। তারপর গতকাল রাতে সুস্মিতার বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ । সেখানে তাকে এই গয়না চুরি সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় । প্রথমটায় অস্বীকার করলেও লাগানোর পুলিশের জেরার মুখে অবশেষে স্বীকার করে নেয় যে গয়না চুরি করেছে সে। আজ অভিযুক্ত ওই পরিচারিকাকে বিধাননগর আদালতে তোলা হবে বলে জানা যায়। তারপর সেখানে তাকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হবে বলে খবর পুলিশ সূত্রে।
প্রসঙ্গত ,এর আগেও এই রকম গয়না চুরির ঘটনা ঘটেছে যেখানে অভিযুক্ত বাড়ির পরিচারিকারা। উত্তর ২৪ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জের বাসিন্দা গীতা মন্ডলকেও এই একই অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তিনি বাঁশদ্রোণী থানা এলাকার বাসিন্দা অসন্ত সিনহার বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করতেন । কিন্তু দীর্ঘদিন তাদের বাড়িতে কাজ করার পর আচমকা সে কাজ ছেড়ে দেবে বলে ঠিক করে । আর তারপরই অসন্ত বাবুর বাড়ি থেকে চুরি যায় প্রায় চার ভরি সোনার গয়না। অবশেষে পুলিশ গ্রেফতার করে ওই পরিচারিকাকে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম