সিবিআই চার্জশিটে চাঞ্চল্যকর তথ্য ,আনারুলের নির্দেশেই আনা হয়েছিল ৫ লিটার পেট্রোল

।। প্রথম কলকাতা।।
উপপ্রধান ভাদু শেখ খুনের ঘটনার প্রতিশোধ নিতেই বগটুই গ্রামে জ্বলেছিল আগুন। এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে আনারুল হোসেনকে । যদিও সিবিআই তদন্তকারী আধিকারিকরা প্রথম থেকেই আনারুলকে এই ঘটনার মাস্টারমাইন্ড বলে উল্লেখ করে আসছেন। আর এবার বগটুই কাণ্ডে সিবিআই এর পেশ করার চার্জশিটে আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এল। সেই চার্জশিটে স্পষ্ট জানানো হয়েছে যে, ঘটনার দিন অর্থাৎ ২১ শে মার্চ রাতে রামপুরহাটের একটি পেট্রোল পাম্প থেকে ৫ লিটার পেট্রোল কেনা হয়েছিল । পেট্রোল কিনেছিল ভাদু শেখের অনুগামীরা, নির্দেশ দিয়েছিল আনারুল হোসেন।
এর আগেও জানা গিয়েছে যে, ভাদু শেখ খুনের পর রামপুরহাট হাসপাতালে গিয়ে আনারুল ক্ষুব্ধ জনতাকে উস্কানি দিয়েছিল । এরপরে বগটুই গ্রামে চলে ভাঙচুর, লাগানো হয় আগুন । আর সেই আগুন লাগানোর জন্য স্থানীয় পেট্রোল পাম্প থেকে ৫ লিটার পেট্রোল কেনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। ওই চার্জশিটে আরও বেশ কয়েকটি বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। জানা গিয়েছে , ঘটনার দিন রাতে গ্রামবাসীদের তরফ থেকে আনারুলকে ফোন করা হয়েছিল, ফোন করা হয়েছিল থানাতেও । কিন্তু আনারুল তাদেরকে জানায়, পুলিশ সেখানে যাবে না এবং গ্রামবাসীদেরকেও কিছু করতে হবে না। স্পষ্টতই ভাদু শেখের খুনের প্রতিশোধে সোনা শেখ সহ তাঁর আত্মীয়দের বাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে হত্যা করা হয়েছিল তাদের।
ঘটনার দিন রাতে সোনার শেখের বাড়ি থেকে রামপুরহাট থানার সাব-ইন্সপেক্টর রমেশ সাহাকে একাধিকবার ফোন করা হয়েছিল। তার মধ্যে একবার তিনি ফোন ধরেন বলেও জানা যায়। ২৩ সেকেন্ড কথোপকথন হয় দু’পক্ষের মধ্যে। কিন্তু তারপরেও সঠিক সময়ে পুলিশ সেখানে এসে উপস্থিত হয়নি। অনেক পরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় দমকল যতক্ষণে সবকিছু প্রায় শেষ। এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় আনারুল হোসেনকে । তাঁর বিরুদ্ধে অপরাধ সংগঠিত করার জন্য উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ১০৯ ধারা যুক্ত করার আবেদন জানানো হয়েছে সিবিআই এর তরফ থেকে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম