গরু পাচারকাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদ তারপরে গ্রেফতার, তৃতীয়বার CBI আদালতে সায়গল

।। প্রথম কলকাতা।।
গরু পাচার কাণ্ডে তদন্ত চালাতে গিয়ে নাম উঠে আসে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের । তাকে গ্রেফতার করা হয়। বর্তমানে সিবিআই হেফাজতে রয়েছে অনুব্রতর দেহরক্ষী। শুক্রবার ফের তাকে আসানসোল সিবিআই আদালতে পেশ করা হয় বলে সূত্রের খবর । এর আগেও তাকে সিবিআই আদালতে পেশ করা হয়েছিল। তাঁর বিপুল সম্পত্তির সন্ধান পায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকরা । তবে সেই সম্পত্তির আয়ের এর উৎস কী সে বিষয়ে কোনো রকম সদুত্তর পাওয়া যায়নি সায়গলের কাছ থেকে। যার কারণে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এর আগেও তাকে গ্রেফতার করার পর দু’বার আসানসোলের সিবিআই আদালতে পেশ করা হয়েছিল। আর আজ আবারও নিয়ে আসা হয় তাকে আদালতে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, গরু পাচার কাণ্ডের তদন্ত করতে গিয়ে নাম জড়িয়েছিল বীরভূমের দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডলের। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় এরপর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয় অনুব্রত দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে। তল্লাশি চালানো হয় তাঁর মুর্শিদাবাদের বাড়িতে এমনকি তাঁর বোলপুরের ফ্ল্যাটেও তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকরা। অবশেষে তাকে গ্রেফতার করা হয় কারণ তাঁর আয় বহির্ভূত সম্পত্তি সম্পর্কে যেসব অভিযোগ উঠেছিল সেই প্রসঙ্গে তাঁর বয়ানে একেবারেই মিল ছিল না।
একাধিক অসঙ্গতি থাকায় গ্রেফতার করা হয় তাকে। গরু পাচার কাণ্ডে তদন্ত করতে গিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই সায়গল হোসেনের উপর নজর ছিল সিবিআই আধিকারিকদের। তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ তাঁর আয়ের তুলনায় অনেক বেশি যার কারণে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে যে একজন দেহরক্ষী হয়ে কী করে সে নিজে এতগুলি বাড়ির মালিক হতে পারে, এছাড়াও তাঁর নামে একাধিক জমি জায়গা রয়েছে বলেও জানা যায়। তাঁর ডোমকলের বাড়িতে তল্লাশি চালানোর পর সিবিআইয়ের হাতে বেশ কিছু নথিপত্র উঠে আসে। এর পরেই তাকে টানা দীর্ঘক্ষন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় এবং ফের গ্রেফতার করা হয় তাকে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম