রক্তাক্ত ত্রিপুরার উপনির্বাচন, ভোট দিতে যাওয়ার সময় আক্রান্ত পুলিশকর্মী, দিনভর একাধিক অশান্তির অভিযোগ

।।প্রথম কলকাতা।।
ত্রিপুরার উপনির্বাচনেও ঝরল রক্ত। মার খেলেন পুলিশ কর্মী। কোথাও আবার ভোটারদের ভোটই দিতে দেওয়া হল না। বুথ থেকে বের করে দেওয়া হল পোলিং এজেন্টদের। আর প্রতিটি ক্ষেত্রেই অভিযোগের তীর বিজেপি আশ্রিত গুন্ডাদের দিকে। নির্বাচন কমিশনে একাধিক অভিযোগ জানিয়েছে তৃণমূল। কিন্তু তাতেও কোনও কাজ হয়নি বলেই দাবি তাদের। ভোটগ্রহণের তিন ঘণ্টার মধ্যেই বিশৃঙ্খলার অভিযোগ শোনা যায়৷ আহত ওই পুলিশ কর্মীর নান সমীর সাহা। জানা গেছে তার পেটে ছুরি চালানো হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে আগরতলা জিবি হাসপাতালে।
তার স্ত্রী সীমারানি সাহার অভিযোগ, এদিন সকালে ডিউটিতে যাওয়ার আগে সমীরবাবু ভোট দিতে যাচ্ছিলেন স্থানীয় ভোটগ্রহণ কেন্দ্রেই৷ সেই সময়ে তাকে রাস্তায় ঘিরে ধরে বেশ কয়েকজন৷ বলা হয়, ভোট দিতে যাওয়া যাবে না৷ এরপরেই শুরু হয় তর্কাতর্কি, ধাক্কাধাক্কি। সেই সময় সমীরবাবুর পেটে ছুরি মারা হয়৷ গুরুতর আহত অবস্থায় সমীর সাহাকে নিয়ে আসা হয় আগরতলা জিবি হাসপাতালে৷ সেখানেই তার অপারেশন চলছে। গোটা ঘটনায় অভিযোগ উঠেছে গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে।
এদিন উপনির্বাচনের সকাল থেকেই ত্রিপুরার একাধিক জায়গা থেকে শোনা গেছে অশান্তির খবর। বরদোয়ালিতে ৫৩ নং বুথে ভোট দিতে যাওয়ার পথে স্থানীয় বাসিন্দা জয়দীপ পাল ও তার বাবাকে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আক্রান্ত ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন, ‘‘গুন্ডারা জানায়, আমরা ভোট দিতে পারব না। কেন যেতে পারব না, এ কথা বলায়, আমাদের মারধর করতে শুরু করে।’’ এছাড়াও আগরতলা বিধানসভা কেন্দ্রের ১১ নম্বর বুথের বাইরে ফোন ছিনতাই ও ভোটারদের ভয় দেখানোর অভিযোগ শোনা গেছে। সব মিলিয়ে বেলা গড়াতেই ত্রিপুরায় উপনির্বাচন ঘিরে উত্তাপ বেড়েছে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম