Renu Khatun: ফিরতে চান না আর স্বামীর কাছে, আদালতে গোপন জবানবন্দি দিয়ে জানালেন রেণু

।। প্রথম কলকাতা।।
সরকারি নার্সিং চাকরি পাওয়ায় স্ত্রীর হাতের কব্জি থেকে কেটে নিয়ে ছিলেন স্বামী। এমন নৃশংস ঘটনার পরেও তাঁর চাকরি করা আটকাতে পারলেন না তিনি। গতকাল কেতুগ্রামের রেণু খাতুন সরকারি নার্সিং গ্রেড ২ বিভাগে যোগদান করেছেন । আর আজ তিনি কাটোয়া মহকুমা আদালতে এসে উপস্থিত হন গোপন জবানবন্দি দেওয়ার জন্য। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর এই কয়েকদিন বর্ধমানে তাঁর দিদির বাড়িতেই ছিলেন তিনি । আজ সেখান থেকে কেতুগ্রাম থানার পুলিশ তাকে নিয়ে আসে কাটোয়া মহকুমা আদালতে। রেণু জানান, যেরকমই পরিস্থিতি আসুক না কেন , আর কখনও স্বামীর কাছে তিনি ফিরে যেতে চান না।
গোপন জবানবন্দি দিতে গিয়ে এমনটাই তিনি ম্যাজিস্ট্রেটকে জানিয়েছেন বলে সূত্রের খবর। বর্তমানে শুরু হয়েছে রেণু খাতুনের নতুন জীবন যুদ্ধ । কারণ তাঁর সঙ্গে যে ঘটনা ঘটে গিয়েছে তা স্বাভাবিকভাবেই হৃদয়বিদারক। তবে তাতে একেবারেই ভেঙে পড়েননি রেণু বরং ঘুরে দাঁড়িয়েছেন। নিজের যোগ্যতায় সরকারি নার্সিং এর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন । তবে স্বামীর নিম্ন মানসিকতার কারণে বর্তমানে তাকে গ্রেড ২ বিভাগে চাকরি করতে হচ্ছে। গতকালই তিনি জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরে এসে নিজের দায়িত্ব বুঝে নিয়েছেন, যোগদান করেছেন কাজে।
চলতি মাসের ৪ তারিখে কেতুগ্রামের বাসিন্দা রেণুর ঘুমন্ত অবস্থায় ডান হাতের কব্জি থেকে কেটে নেওয়া হয় । আর এই কাজ করেন তাঁর স্বামী । কারণ রেনুর স্বামী শের মহম্মদের ধারণা ছিল স্ত্রী সরকারি চাকরি করলে সংসারে মন বসবে না। বিবাহ বিচ্ছেদ হতে পারে তাদের। যে কারণে এই চরম সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন তিনি। ঘুমন্ত স্ত্রীর ডান হাতের কব্জি থেকে কেটে নেন।যদিও চিকিৎসার পরে রেণু সুস্থ হয়ে উঠেছেন কিন্তু তাঁর ওই কাটা হাত আর জোড়া লাগানো যায়নি। তবে সরকারের তরফ থেকে তাকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে কৃত্রিম হাতের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে।
বর্তমানে তাঁর ডান হাতটি কাটা কিন্তু এই অবস্থাতেও সরকারি চাকরিতে তিনি যোগ দিয়েছেন। এই ঘটনায় তাঁর স্বামীসহ আরও তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আর এই দিন কাটোয়া মহকুমা আদালতে গোপন জবানবন্দি দিতে এসে রেনু জানান, কোনমতেই স্বামীর কাছে আর ফিরতে চান না । যে ঘটনা তাঁর সঙ্গে ঘটে গিয়েছে স্বাভাবিকভাবেই তা ভোলা সম্ভব নয় । যে কারণে স্বামীর দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন ।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম