দারুণ খবর! 4G এর সমান খরচ হবে 5G নেটওয়ার্কের, ঘোষণা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর

।। প্রথম কলকাতা ।।
দেশজুড়ে 5G প্রযুক্তি নিয়ে তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছে কেন্দ্র। জুলাই মাসে অনুষ্ঠিত হবে 5G স্পেকট্রামের নিলাম। তার আগেই বড় ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। তিনি জানিয়ে দেন, চলতি বছর অগাস্ট-সেপ্টেম্বর মাস থেকেই প্রাথমিক পর্যায়ে শুরু হয়ে যাবে 5G বাস্তবায়নের কাজ। শুরুতে দেশের ২০ থেকে ২৫ টি শহরে 5G প্রযুক্তির সুবিধা মিলবে বলে নিশ্চিত করেন তিনি।
যদিও সম্প্রতি টেলিকম বিভাগের পক্ষ থেকে এক বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে, প্রাথমিক পর্যায়ে কলকাতা, বেঙ্গালুরু, দিল্লি, হায়দ্রাবাদ, লখনউ, পুনে, চেন্নাই, গান্ধীনগর, জামনগর, মুম্বাই, আহমেদাবাদ, চণ্ডীগড় সহ ১৩ টি শহরে পাওয়া যাবে 5G নেটওয়ার্ক। ২০২২ সাল শেষ হতে হতে পুরোদমে চালু হয়ে যাবে 5G।
প্রসঙ্গত, জুলাই মাসে অনুষ্ঠিত নিলামে ২০ বছরের জন্য 5G স্পেকট্রাম বরাদ্দ করা হবে। বিভিন্ন ব্যান্ডের স্পেকট্রাম দেওয়া হবে টেলিকম অপারেটরগুলির হাতে।
অন্যদিকে 5G প্রযুক্তির ঘোষণা হলেও এটির খরচ সম্পর্কে অনেকের মনেই সংশয় রয়েছে। 4G এর থেকে বেশি নাকি 4G এর মতোই খরচ পড়বে 5G এর ক্ষেত্রে তা নিয়ে তৈরি হয়েছে জল্পনা। তবে এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আশ্বাস দেন, 5G নেটওয়ার্কের খরচ বিশ্বব্যাপী যে গড় খরচ রয়েছে তার তুলনায় অনেকটাই কম হবে।
তাঁর কথায়, ভারতে ইন্টারনেট ডাটা রেটের খরচ প্রায় ২ ডলার অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় ১৫৫ টাকা। যেখানে বিশ্বব্যাপী গড় খরচ ২৫ ডলার যা ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১,৯০০ টাকা। তাই আসন্ন 5G নেটওয়ার্কের খরচ 4G নেটওয়ার্কের সমান হতে চলেছে।
তিনি তথ্য পেশ করে বলেন, ভারতের গড় ডেটা খরচ ১৮ জিবি। যেখানে বিশ্বের গড় ডেটা খরচ ১১ জিবি।
তবে দেশজুড়ে 5G টাওয়ার বসলে তা থেকে নির্গত ইলেক্ট্রো-ম্যাগনেটিক ফিল্ড (EMF) রেডিয়েশন নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। অনেকের অভিযোগ, এই তরঙ্গের ফলে মানব শরীরে ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে। এই তরঙ্গের তীব্রতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। তবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান, এই বিষয়ে চিন্তা করার দরকার নেই। অন্যান্য দেশের তুলনায় ভারতে যথোপযুক্ত কঠোর নিয়মে এই পরিকাঠামো গড়ে তোলা হবে।