বড় খবর : শোকজ তারপর জরুরি তলব, অবশেষে পদ থেকে অব্যাহতি পাভলভ সুপারের

।। প্রথম কলকাতা।।
রাজ্যের সরকারি মানসিক হাসপাতালগুলির মধ্যে অন্যতম একটি হল পাভলভ হাসপাতাল। তবে স্বাস্থ্য দপ্তরের প্রতিনিধিদল ওই হাসপাতাল পরিদর্শন করার পর যে রিপোর্ট পেশ করেন তা দেখে রীতিমত হতবাক সকলে। বর্তমানে অত্যন্ত বেহাল পরিস্থিতি ওই হাসপাতালের। ঠিক মত রোগীদের চিকিৎসা করা হয় না। পাশাপাশি রাজ্য সরকারের তরফ থেকে আবাসিকদের জন্য যে টাকা বরাদ্দ করা হয় সেই টাকার কোন সঠিক হিসেব দেখাতে পারেননি হাসপাতাল সুপার । চরম অব্যবস্থার নিদর্শন গোটা হাসপাতাল জুড়ে, তাই পাভলভ সুপার গণেশ প্রসাদকে শোকজ করা হয় এবং তারপর আজ তাকে জরুরি তলব করা হয় স্বাস্থ্য ভবনে।
অবশেষে মঙ্গলবার দুপুরের পর সাময়িকভাবে পাভলভ সুপারকে তাঁর পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে সেই দায়িত্ব সামলাবেন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের সুপার অর্ঘ্য মৈত্র। তিনি হাসপাতালের প্রশাসনিক এবং রোগী পরিষেবা সংক্রান্ত সমস্ত দিক গুলি সামলাবেন । এছাড়াও এবার হাসপাতালের অর্থনৈতিক বিষয় গুলি দেখভাল করার জন্য একজন অ্যাকাউন্টস অফিসার রাখা হবে বলে জানা গিয়েছে। পাভলভ হাসপাতাল পরিদর্শন করার পর সুপারকে সাত দিনের সময় দেওয়া হয়েছিল জবাবদিহি করার জন্য।
গত কাল অর্থাৎ সোমবার সেই সময়সীমা শেষ হয়। তারপর হাসপাতাল সুপার দু-পাতার একটি চিঠি স্বাস্থ্য ভবনে পাঠান বলে জানা যায় । আর সেই চিঠি পাঠানোর পরেই তাকে স্বাস্থ্য ভবন এর তরফ থেকে জরুরি তলব করা হয়। মঙ্গলবার দুপুরে মুখোমুখি বৈঠকে বসেন তিনি । সেখানে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য সচিব নারায়ন স্বরূপ নিগম , রাজ্য স্বাস্থ্য অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগী সহ অন্যান্য আধিকারিকরা। যদিও মুখোমুখি বৈঠকে আত্মপক্ষ সমর্থন করার জন্য হাসপাতাল সুপার গণেশ প্রসাদ তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
বরং তিনি পাল্টা অভিযোগ তোলেন যে তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা হচ্ছে , ষড়যন্ত্র করে এই ধরনের একটি ছবি তৈরি করার চেষ্টা করা হচ্ছে । যদিও স্বাস্থ্য ভবনের উচ্চ আধিকারিকরা তাঁর এই অভিযোগকে বিশেষ গুরুত্ব দেননি। স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে যে, পাভলভ মানসিক হাসপাতালের যে পরিস্থিতি বর্তমানে তৈরি হয়েছে তাকে আবার স্বাভাবিক করার জন্য দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। আগামী পরশু দিন ফের একবার বৈঠকের আয়োজন করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম