কী কারণে মেয়াদ বাকি থাকতেও সরানো হলো বিপ্লব দেবকে? গোপন তথ্য ফাঁস করলেন অভিষেক

।। প্রথম কলকাতা ।।
মেয়াদ শেষ হবার আগেই ত্রিপুরায় মুখ্যমন্ত্রীর কুরসী থেকে অপসারণ করা হয় বিপ্লব দেবকে। ক্ষমতায় আসীন হন মানিক সাহা। যিনি ত্রিপুরা বিজেপির রাজ্য সভাপতি ও রাজ্যসভার সাংসদ। মেয়াদ বাকি থাকতেও, কেন অপসারণ করা হয়েছে বিপ্লব দেবকে? এবার গোপন তথ্য ফাঁস করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
আজ ত্রিপুরায় জনসভায় যোগদান করতে চলেছেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। জনসভার আগে সাংবাদিক বৈঠকে যোগদান করলেন তিনি। যেখানে তিনি জানান,”২০২২ সালে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বদলেছে। বিজেপি বুঝতে পেরেছে সন্ত্রাসের শাসন, গুন্ডারাজের সাহায্য নিতে হয়েছে বিজেপিকে, তাতে মানুষের হৃদয় থেকে বিজেপি মুছে গেছে। বিজেপির সাথে গুন্ডা, অর্থ রয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে মানুষের শক্তি রয়েছে। যত বড় রাজনৈতিক দল, রাষ্ট্রশক্তি হোক না কেন গণতন্ত্রতে শেষ কথা বলে গণদেবতা মানুষ। তৃণমূল কংগ্রেসকে এত ভয় কেন? কারণ মানুষের হৃদয় তৃণমূল কংগ্রেস জায়গা তৈরি করে নিয়েছে। তৃণমূলের চাপে পরে বিপ্লব দেবকে সরানো
হয়েছে। “
এরপর তিনি জানান, ” মুখোশ আলাদা কিন্তু এক মুখ। বিপ্লব দেব যেভাবে অপশাসন চালিয়ে এসেছেন, জোরজবরদস্তি করে এসেছেন, একইভাবে মানিক সাহা করছেন। যদি গায়ের জোরে রাজনীতি না হয়, গুন্ডা বাজি না হয় ত্রিপুরায় বিজেপি খাতা খুলতে পারবে না আগামী নির্বাচনে। তাই এমন লোককে বসাও, যিনি দিল্লির রিমোট কন্ট্রোল হিসেবে কাজ করবেন। দিল্লি থেকে বলে দেওয়া হবে, জোর জুলুম করে ভোট করো। দিল্লি থেকে বলে দেওয়া হবে, এই প্রকল্প হবে, তো এই প্রকল্পই হবে। এই প্রকল্প হবে না, তো এই প্রকল্প হবে না। বিধায়কদের মধ্যে একজনকে পাওয়া গেল না, যাকে মুখ্যমন্ত্রী করা যাবে। ত্রিপুরায় একটা যোগ্য সন্তানকে চিহ্নিত করা গেল না।
এমন একজনকে চিহ্নিত করা হলো, যার ভাবমূর্তি লোকের কাছে সজ্জন, ন কিন্তু যিনি রিমোট কন্ট্রোলের কাজ করবেন।”
তিনি আরও জানান, “সর্বক্ষেত্রে ত্রিপুরা পিছিয়ে পড়েছে। বেকারত্বের হার ত্রিপুরায় ১৮%, বাংলায় ৪%। তথ্য পরিসংখ্যান দিয়ে কথা বলছি, মিথ্যা বললে আমার বিরুদ্ধে মামলা হোক। উত্তর পূর্ব ভারতে রাজনৈতিক সন্ত্রাস’ সবচেয়ে বেশি হয় ত্রিপুরায়। ত্রিপুরা শিরোনামে, কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে নেতিবাচক কারণে। নেতিবাচক খবরের ত্রিপুরা এক নম্বরে, বেকারত্বতে ত্রিপুরা এক নম্বরে, রাজনৈতিক সন্ত্রাসের ক্ষেত্রে ত্রিপুরা এক নম্বরে।”
“এই পরিবেশ-পরিস্থিতি যদি পাল্টাতে হয় তবে ত্রিপুরার মাটি থেকে বিজেপিকে তুলে ফেলতে হবে। যেটা একমাত্র তৃণমূল কংগ্রেস পারে। আমরা রাস্তায় ছিলাম আছি আগামীতেও থাকবো। ছেড়ে যাবে না। তৃণমূল মানুষের জন্য কাজ করতে বদ্ধপরিকর। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে তৃণমূল বদ্ধপরিকর। ত্রিপুরা থেকে বিজেপিকে উৎখাত করতে শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত লড়াই করতে বদ্ধপরিকর।”
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম