‘আমার কথার ভুল ব্যাখ্যা হয়েছে’, ধর্মীয় হিংসা বিতর্কের জেরে মুখ খুললেন সাই পল্লবী

।। প্রথম কলকাতা ।।
দেশ জুড়ে ধর্মীয় বিতর্কের রেশ অব্যাহত। কিছুদিন BJP প্রার্থী নুপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে উত্তাল হয়ে উঠেছিল সমগ্র দেশ। এবারও সেই ধর্মীয় সংঘাত ও হিংসা নিয়ে মুখ খুলতে গিয়েই বিতর্কের মুখে পড়লেন দক্ষিণী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির জনপ্রিয় নায়িকা সাই পল্লবী। অবশেষে মৌনতা ভেঙে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেকে নির্দোষ প্রমান করতে সরব হলেন অভিনেত্রী।
রবিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে অভিনেত্রী জানালেন তাঁর কথার ভুল ব্যাখ্যা হয়েছে। তিনি মোটেই কাশ্মীরি পন্ডিতদের ঘটনাকে ছোটো করতে চাননি। একই সাথে পল্লবীর কথায়, এবার থেকে মনের কথা খুলে বলার আগে দুবার করে ভাববো। কারণ আমি ভীষণ উদ্বিগ্ন যে আমার কথার ভুল অনুবাদ হতে পারে, এর ভুল ব্যাখ্যা হতে পারে এই ভেবে।
প্রসঙ্গত, একই সাথে পল্লবী জাননা, কিছুদিন আগে একটি সাক্ষাৎকারে আমার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল “আমি বামপন্থী নাকি দক্ষিণপন্থী। আমি এই বিষয়টি পরিষ্কার করে বলতে চাই, আমি নিরপেক্ষ। নিজেদের বিশ্বাসের কথা বলার আগে আমাদের সবার প্রথমে ভাল মানুষ হয়ে উঠতে হবে। এবং অবদমিতদের সুরক্ষা দিতে হবে যে কোনও মূল্যে।”
একই সাথে পল্লবীর কথায়, “আমি মনে করি না আমাদের কারোরই অধিকার রয়েছে কারও প্রাণ নেওয়ার। বাস্তব জীবনে একজন এমবিবিএস ডাক্তার বা মেডিক্যাল স্নাতক হিসেবে আমি মনে করি, সমস্ত জীবনই সমান এবং গুরুত্বপূর্ণ। আমি চাই না, এমন দিন আসুক যেদিন কোনও শিশু জন্মানোর পরে নিজের পরিচয় নিয়ে আতঙ্কিত হয়ে থাকবে। আমি কামনা করব, এমন দিন যেন না আসে। আমার মনে হয় আমার বলা প্রতিটা কথার ভুল অর্থ আপনাদের কাছে পৌঁছেছে, আপনারা এর অন্তর্নিহিত অর্থ খুঁজেই দেখেননি”।
আসলে ঘটনার সূত্রপাত হয় কিছুদিন আগে। যখন এক এক সাক্ষাৎকারে পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রীর আলোচিত ছবি ‘কাশ্মীর ফাইলস’-এর প্রসঙ্গে সাই পল্লবী বলেছিলেন, “কাশ্মীরি পণ্ডিতদের হত্যা এবং করোনা আবহে গাড়িতে গরু নিয়ে যাওয়া মুসলিম ব্যক্তির উপর আক্রমণ করা সমান অপরাধ।” আর অভিনেত্রীর এমন মন্তব্যকে ঘিরেই তুমুল ঝড় ওঠে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এই মন্তব্যের জেরেই সম্প্রতি অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে হায়দরবাদের সুলতান বাজার থানায় দায়ের হয়েছে অভিযোগ। অভিযোগপত্রের সঙ্গে জমা পড়েছে অভিনেত্রীর ২৭ মিনিটের একটি বক্তব্যের ভিডিও।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম